top of page

নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ চার যুবকের বিরুদ্ধে, গ্রেফতার দুই

ফের গণধর্ষণের অভিযোগ। অষ্টম শ্রেণির এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চার যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক-৩ ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দুই যুবককে গ্রেফতার করে আজ মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।


নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাবা কর্মসূত্রে কেরালায় রয়েছেন। তিনি মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি রয়েছেন মা। গতকাল রাতে তিনি তারাবির নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় এলাকারই চার যুবক আলমগির শেখ, তোতা শেখ, সেলিম ইউসুফ ও সুজন রবিদাস বাড়ির পাঁচিল টপকে ঘরের ভিতর ঘুমিয়ে থাকা ওই নাবালিকাকে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি শিশুগাছের বাগানে নিয়ে গিয়ে চারজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন মা। রাত দশটা নাগাদ টলতে টলতে ঘরে ফেরে নির্যাতিতা নাবালিকা। মেয়ের থেকে বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই তাকে নিয়ে কুম্ভীরা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে সেলিম ইউসুফ ও সুজন রবিদাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। ধৃত দুই অভিযুক্তকে আজ মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।


4-accused-for-gang-raping-a-minor-2-arrested
নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চার যুবকের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি

যদিও গণধর্ষণের বিষয়টি মানতে চাননি জেলা পুলিশ কর্তারা। অতিরিক্ত পুলিশসুপার (গ্রামীণ) অনীশ সরকার জানান, ওই নাবালিকার সঙ্গে কিছু ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে মামলা শুরু করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্ত জারি রয়েছে।



উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ইংরেজবাজারে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার তদন্তভার বর্তেছে দময়ন্তী সেনের উপর। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের গণধর্ষণের ঘটনা নানা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে জেলা পুলিশকে।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page