সুজাপুরে পৌঁছল এসটিএফ, খালি হাতে ফিরল বিজেপি নেত্রী!
সুজাপুরের প্লাস্টিক কারখানায় দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়েছে। কিন্তু এখনও যেন থমথমে এলাকা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। আজ সন্ধেয় ফরেনসিক টিমের ঘটনাস্থলে আসার কথা জানা গিয়েছে। তবে দুপুরেই ঘটনাস্থলে একঝলক চোখ বুলিয়েছে স্পেশাল টাস্কফোর্স। দফায় দফায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের পাশে ছুটে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে সকলের মনেই প্রশ্ন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সুজাপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্কুলপাড়ায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখেন, এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মানবদেহ। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন পুলিশসুপার, জেলাশাসক। ছুটে যান স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খানও। বিকেলে চপারে উড়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণে দুই নাবালক সহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়৷ গতকাল বিস্ফোরণে আহতদের প্রত্যেককেই মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৪৫ বছরের আবুকে কলকাতায় রেফার করা হয়৷ জানা গিয়েছে, কলকাতা যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর৷ মৃতদের নাম রাজীব খান (১৭), মোস্তাফা শেখ (৪০), আজিজুল রহমান (১৩), আবদুল রহমান (১৮), সারিফুল শেখ (২৯), আবু সাহেদ (৪৫)৷
আজ দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসি বিধায়করা। স্থানীয় বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি বলেন, মদ খেয়ে মৃত্যু হলে মৃতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় রাজ্য সরকার৷ কিন্তু এক্ষেত্রে মৃতদের পরিবারগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া উচিত। এই দুস্থ শ্রমিকরা লকডাউনে কর্মহীন ছিলেন। এই বিষয়টা সরকারের মাথায় রাখা উচিত ছিল। আমাদের সরকার ক্ষমতায় না থাকলেও দলের পক্ষ থেকে মৃতদের ৫০ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছি। অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল ও বিজেপির প্রতিক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মোস্তাক আলম।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরিও৷ তিনি জানান, আমাদের ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়নি। অথচ গতকাল অন্য দলের প্রতিনিধিদের যেতে দেওয়া হয়েছিল৷ এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি৷ রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারের জন্য দুই লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এটা পর্যাপ্ত নয়৷ প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios