মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় মালদার ২১
রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে মেধা তালিকায় এই প্রথম প্রতিটি জেলাকে পিছনে ফেলে দিল মালদা৷ ছোট্ট এই জেলার ২১ জন পরীক্ষার্থী এবারের মাধ্যমিকে প্রথম দশটি স্থানে জায়গা করে নিয়েছে৷ এই অভূতপূর্ব ফলে উচ্ছ্বসিত জেলাবাসী৷ শুধু তাই নয়, মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান পাওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পরীক্ষার্থী অদ্রিজ গুপ্তও মালদার ছেলে৷ তাকে নিয়েও জেলাবাসীর উচ্ছ্বাস কম নয়৷
শুক্রবার সকাল ১০টায় কলকাতার নিবেদিতা ভবনে ২০২৩ সালের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়৷ মেধা তালিকা প্রকাশের আগেই তিনি জানিয়ে দেন, এবারের মাধ্যমিকে রাজ্যের প্রতিটি জেলাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে মালদা৷ এই জেলার ২১ জন পরীক্ষার্থী প্রথম দশটি স্থানে রয়েছে৷ প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে রাজ্যের ১১৮ জন পরীক্ষার্থী৷ তাঁর সেই ঘোষণার পরেই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে জেলা জুড়ে৷
তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, মালদার যে ২১ জন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে, তার মধ্যে ১৩ জনই রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র৷ এই স্কুলের রিফত হাসান সরকার ৬৯১ পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছে৷ ৬৯০ নম্বর পেয়ে এই স্কুলের চারজন তৃতীয় স্থানে রয়েছে৷ তারা হল মহম্মদ সারওয়ার ইমতিয়াজ, মাহির হাসান, স্বরাজ পাল ও অর্ঘ্যদীপ সাহা৷ ৬৮৭ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রায়হান আবেদিন ও ঋদ্ধিশ দাস৷ মহম্মদ ফাহিম আনিস ও শেখ আয়ান রশিদ ৬৮৬ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থান লাভ করেছে৷ ৬৮৫ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে দেবকুমার মিশ্র ও অরণ্য লালা৷ ৬৮৩ নম্বর পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছে অঙ্কিত মণ্ডল ও অনুব্রত ঘোষ৷
তবে শুধু রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরই নয়, এবারের মাধ্যমিকে মালদার মান বাড়িয়েছে এই শহরের অক্রুরমণি করোনেশন ইন্সটিটিউশনের শুভ্রজিৎ দেব ও সাগ্নিক বকসিও৷ ৬৮৮ নম্বর পেয়ে পঞ্চম স্থান লাভ করেছে শুভ্রজিৎ৷ ৬৮৩ নম্বর পেয়ে দশম স্থানে রয়েছে সাগ্নিক৷
শুধু শহর নয়, গ্রামীণ স্কুলগুলি থেকেও এবার মেধা তালিকায় নাম তুলেছে পরীক্ষার্থীরা৷ চাঁচলের রানি দ্রাক্ষায়িনী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অনুশ্রেয়া দাস ৬৮৮ নম্বর পেয়ে শুভ্রজিতের সঙ্গেই পঞ্চম স্থান লাভ করেছে৷ কালিয়াচকের মোজমপুর এইচএসএসবি হাইস্কুলের ছাত্র গোলাম মাসুদ বিশ্বাস ৬৮৬ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে৷ সুজাপুর হাইস্কুলের ফারহিন আকতার ও আফিয়া আকিলা দু’জনেই ৬৮৫ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান লাভ করেছে৷ ওই স্কুলেরই সুমায়া সুলতানা ৬৮৩ নম্বর পেয়ে রয়েছে দশম স্থানে৷ মানিকচকের নাজিরপুর হাইস্কুলের ছাত্র মহফুজ আলমও ৬৮৩ নম্বর পেয়ে দশম স্থানে রয়েছে৷
জেলাবাসীর আকাঙ্খা, মাধ্যমিকের ফল যেন উচ্চমাধ্যমিক এবং তার পরবর্তী ক্ষেত্রেও ধরে রাখে এই জেলার ছেলেমেয়েরা৷ তবেই আমের মতোই মালদার নাম নিয়ে চর্চা হবে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশে, এমনকি দেশের সীমানা ছাড়িয়েও৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários