মাধ্যমিকে দশম মালদার বার্লো গার্লসের ছাত্রী সায়নিকা দাস
মাধ্যমিকে দশম সায়নিকা দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১। মালদার বার্লো গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলাস্তরে সে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আর রাজ্যস্তরে সায়নিকা যুগ্মভাবে দশম স্থান অর্জন করেছে। স্বভাবতই তার এই সাফল্যে স্কুল ও পরিবারের সকলেই খুব খুশি।
মালদা শহরের গৌড়রোড তালতলা এলাকায় থাকে সায়নিকা। বাবা অভিজিৎ দাস একজন পুলিশ কর্মী। তিনি পুখুরিয়া থানার এএসআই। মা সোনালী দাস পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। একমাত্র মেয়ে সায়নিকার মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে রাজ্যে দশম স্থান দখলের খবর জানাজানি হতেই পাড়া-প্রতিবেশীদের ভিড় সকাল থেকে তাদের বাড়িতে উপচে পরে। শুরু হয় মিষ্টিমুখ করার পালা। সায়নিকা মাধ্যমিক পরীক্ষায় জীবন বিজ্ঞান, অংক ও ভূগোলে একশোতে ১০০ নম্বরই পেয়েছে। এছাড়া বাংলায় ৯৯, ইংরেজিতে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯০, ইতিহাসে ৯৩ নম্বর তার। সায়নিকার আফসোস ভৌত বিজ্ঞানের নম্বরে দেখে।
কৃতি ছাত্রী সায়নিকা দাস বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির আগে আমার পড়ার নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা ছিল না। যখন যেভাবে পেরেছি পড়েছি।
স্কুলের শিক্ষিকা থেকে গৃহশিক্ষকদের সহযোগিতা খুব ভালোভাবে পেয়েছি। বাবা-মা সব সময় আমাকে পড়ার ব্যাপারে গাইড করতেন। তবে আমি ভাবতে পারি নি এতটা ভালো ফল করতে পারব। ভবিষ্যতে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে রয়েছে সায়নিকার।
বার্লো গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতবারের মতো এবছরও তাঁদের স্কুলের ফলাফল ভালো হয়েছে। বাবা অভিজিৎ দাস মেয়ের এই রেজাল্টের খবর পান পুখুরিয়ায় ডিউটি রত অবস্থায়। তিনি জানালেন, মেয়ের এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব সায়নিকার মা সোনালি দাসের।
תגובות