আপাতত নয় চাঁচল পুরসভা
top of page

আপাতত নয় চাঁচল পুরসভা

বহু দিনের প্রত্যাশা যখন টগবগ করে ফুটছিল, ঠিক তখনই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে ছাই ঢেলে দিল শুধু একটা ঘোষণা৷ ‘আপাতত হচ্ছে না চাঁচল পুরসভা’৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় মুহূর্তে বিলীন হয়ে গেল চাঁচলের ‘স্বপ্ন’৷

পুরসভা প্রাপ্তির ইচ্ছেটা অবশ্য আজকের নয়৷ সেই লাল জমানা থেকেই দাবিটা উঠে আসছে৷ সে যুগেই হোক বা এ জমানায়, ঘোষণাতেই বারবার আটকে থেকেছে চাঁচলে পুরসভা গড়ার প্রক্রিয়া৷ তবু আশার আলো টিমটিম করে হলেও জ্বলতে থেকেছে৷ হয়তো আর ক’দিন বাদেই বিজ্ঞপ্তি জারি৷ আর তারপরেই প্রতিবেশী জেলার বুনিয়াদপুরের মতো চাঁচল সত্যিসত্যিই পুর শহরের মর্যাদা পাবে৷ অন্তরের বেদনাকে এভাবেই আশার মলমে নিরসনের চেষ্টা চালিয়েছে চাঁচলের আমজনতা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরা৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ‘আপাতত’ শব্দেই যেন পুরসভার স্বপ্নভঙ্গ দেখছে চাঁচল৷ আর তা নিয়ে ক্ষুব্ধ চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহেবুবও৷


Municipality in Chanchal

যখন না পাওয়ার যন্ত্রণা কুরে কুরে খাচ্ছে চাঁচলকে, তখন প্রাপ্তির ভাঁড়ারে পরিপূর্ণতা খুশির জোয়ারে ভাসিয়েছে মালদার গর্ব গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একটা আস্ত বাস পেল বিশ্ববিদ্যালয়৷ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের নীল-সাদা বাসটি শহরের প্রবেশ-মুখে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটবে মালদা টাউন স্টেশন পর্যন্ত৷ তবে এখন এই রুটে সরকারি বাস পরিসেবা চালু হলেও পরে রুটের পরিসীমা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ৷ শুধু বাস নিয়েই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ উপাচার্য স্বাগত সেনের প্রশংসাবাক্যও শোনা গেছে তাঁর মুখে৷ বেশ কিছুদিন ধরে চলা টালমাটাল পরিস্থিতির অবসানে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এখন অনেকটাই স্থিতিশীল৷ আর স্থিতিশীলতার শ্রেয় উপাচার্যকেই দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

চাওয়া পাওয়ায় শেষ নেই৷ সেই প্রত্যাশার তুঙ্গে থাকা পারদকে প্রশমিত করতে মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের ব্যাপ্তি আরও বাড়ালেন এই গৌড়বঙ্গ সফরেই৷ স্কুল, কলেজের পর বিশ্ববিদ্যালয়স্তরে ছাত্রীদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুযোগ নিয়ে এলেন তিনি৷ এই প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্রীরা স্কলারশিপ পাবে৷ কলা বিভাগের ক্ষেত্রেও এককালীন ২ হাজার ও বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে ২,৫০০ টাকা করে পাবেন ছাত্রীরা৷ অবশ্য স্কলারশিপের এই ঘোষণা হেমতাবাদের সভা থেকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এবারের সব থেকে বড়ো প্রাপ্তি বোধ হয় কলকাতায় মালদা ভবনের ছাড়পত্র৷ হচ্ছে হবের টানাপোড়েন শেষ৷ কলকাতায় দ্রুত মালদা ভবন তৈরির পরামর্শ দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের দিন কয়েকের মধ্যেই সল্টলেকে মালদা ভবনের জমি পেয়ে গেল প্রশাসন৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page