চোখ বুজে পেটে পুরুন, মোমো-চপের ঘণ্ট
top of page

চোখ বুজে পেটে পুরুন, মোমো-চপের ঘণ্ট

বিকেল হতেই নেতাজি মোড় বা ফোয়ারা মোড়ে মোমোর দোকানে উঁকিঝুঁকি৷ গরম গরম মোমোয় উদরপূর্তি৷ মোমোয় স্বাদ না মিটলে হরেক চপের বিশাল সম্ভার রাস্তার ছোট্ট দোকানেই৷মাংসের চপ, মেটের চপ, ডিমের চপ, রসুনের চপ, এমনকি গলদা চিংড়ির চপও মিলবে এক চিলতি গুমটিতে৷হায়দরাবাদি বা লখনউতি বিরিয়ানির সঙ্গে পেরে না উঠলেও মালদাইয়া বিরিয়ানির স্বাদেও বেশ নবাবিআনা রয়েছে৷আবার মাংসাশী খাবার ছেড়ে নিরামিষে ঝুঁকলেও ডোন্ট ওয়ারি৷ মনস্কামনা মন্দিরের কাছেই এখন মিলছে দক্ষিণি স্বাদের ইডলি-ধোসার গরমাগরম স্বাদ৷ তাছাড়া মালদা টাউন স্টেশনে পাবেন এসব৷ দই বড়ার কথাটাই আলাদা৷


Momo Chop

পেটুক বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে রসদের অভাব নেই মালদা শহরে৷পাহাড়ি মোমোর বাঙালিকরণ হয়েছে এই শহরে৷৩০ টাকায় এক প্লেট চিকেন মোমো বা ২০ টাকায় ভেজ মোমোর সঙ্গে আবার স্যুপও আছে৷ আর আছে চাটনি৷

আবার শহর ঘুরে জিভে জল আনা পাপড়ি চাট বা ফুচকার সম্ভার মিলবে বেশ কয়েক জায়গায়৷তবে সব কটা স্টলের মজা এক নয়৷কিন্তু মন ভরানো খাবার ফাঁকে খটকা থাকছে শহরবাসীর জন্য৷পেটপুজোয় যে সব পুরছেন পেটে, তা কি আদৌ নিরাপদ? মোমোর সসে হাত লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে৷ আর দই বড়ার দইয়ে কখনো একটু টোকো গন্ধ নাকে সুড়সুড়ি দেয়৷ বিরিয়ানির চিকেন-মটন আদৌ টাটকা? বিরিয়ানির হলুদ রঙের মনটাও কি শরীরের পক্ষে নিরাপদ? এসব প্রশ্ন জাগতেই পারে মনে৷ কিন্তু উত্তর পাবেন না৷

কারণ, এ শহরেই শুধু নয়, গোটা জেলায় নয়, গৌড়বঙ্গের তিন জেলার কপালে একমাত্র ফুড ইনস্পেকটর৷ আর সপ্তাহে দু’দিন তাঁকে ছুটতে হয় বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে৷ তাই হাজার চেষ্টাতেও সর্বত্র খাবারের গুণমান যাচাই যে ‘নীলমণি’ আধিকারিকের পক্ষে সম্ভব নয়, তা বলাইবাহুল্য৷ অগত্যা, চোখ বুজে পেটে পুরে দিন মোমো-চপের ঘণ্ট৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page