তিন মাসে ভাঙল গার্ডওয়াল, সামগ্রী নিয়ে পালালেন তৃণমূল সদস্যের স্বামী
top of page

তিন মাসে ভাঙল গার্ডওয়াল, সামগ্রী নিয়ে পালালেন তৃণমূল সদস্যের স্বামী

তৈরির তিন মাসের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে পুকুরের গার্ডওয়াল। গার্ডওয়ালের ইট-লোহা তুলে নিয়ে গিয়েছে ঠিকাদার তথা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী। গার্ডওয়াল নির্মাণে দুর্নীতির বিষয়টি মেনে নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সরকারি ঘরের জন্য ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী।


হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রামপঞ্চায়েতের গিধিনপুকুর গ্রামের রাস্তার পাশে বড়ো একটি পুকুর রয়েছে। মাস ছয়েক আগে সাড়ে তিন লাখ টাকার বরাদ্দে পুকুরের পাশে গার্ডওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, কাজ শেষ করেননি ঠিকাদার তথা পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্মী রায়ের স্বামী রাজীব রায়। যেটুকু কাজ হয়েছিল বর্ষার শুরুতে গার্ডওয়াল থেকে লোহা-ইট বের করে নিয়ে চলে গিয়েছেন তিনি।


স্থানীয় বাসিন্দা রাহানুর হকের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে গার্ডওয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। তিন মাস পরেই গার্ডওয়ালের যেটুকু কাজ হয়েছিল তার গঙ্গাপ্রাপ্তি ঘটে। বিডিওকে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। আইন অনুযায়ী কোনও পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের কেউ পঞ্চায়েতের নির্মাণ কাজে ঠিকাদারি করতে পারেন না।



আরেক বাসিন্দার অভিযোগ, সদস্যের স্বামী রাজীব রায় ২০১৭ সালের বন্যার ক্ষতিপূরণের অন্তত এক কোটি টাকা পকেটে পুরেছে। সরকারি প্রকল্পের ঘরের তালিকায় নাম থাকা মানুষজনের প্রত্যেকের কাছে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা কাটমানি নিচ্ছে। সরকার সাধারণ মানুষের জন্য যা দিচ্ছেন সব থেকেই কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্য।


রাজীব রায় জানান, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। গার্ডওয়ালের কাজ ভালো হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির জলে ওই গার্ডওয়াল ধসে গিয়েছে। ২০১৭ সালের বন্যার ক্ষতিপূরণ নিয়েও যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।




তৃণমূলের বরুই অঞ্চলের চেয়ারম্যান একরামুল হক জানান, গার্ডওয়াল নিয়ে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছিল। গার্ডওয়াল পরিদর্শন করেছিলাম বোঝা যায়, নিম্নমানের বালি দিয়ে তৈরি হয়েছিল গার্ডওয়াল। ভেঙে যাওয়া গার্ডওয়াল থেকে ইট খুলে পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী বাড়ি বানিয়েছে। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী সে এই কাজ পেতে পারে না। ব্লক প্রশাসন জেলা নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হলেও কিছুই হয়নি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page