টিকিট বিলি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তদন্তের আবেদন সহ সভাপতির, অস্বস্তিতে শাসকদল
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে কিছুই জানা ছিল না খোদ সহ সভাপতির। এবারের নির্বাচনে পুরোনো নেতাকর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে অন্য দল থেকে আগতদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সহ সভাপতির। এমনকি সিপিএমের লোকজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদ। এনিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো ও দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের কাছে তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি। ভোটের মুখে দলের সহ সভাপতির মুখে এমন সুরে শোনা যেতেই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। যদিও এনিয়ে দলের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
মালদা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি বিভূতিভূষণ ঘোষ৷ এক সময় মালদা জেলায় বাম বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদানের পর পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। বর্তমানে জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বিভূতিবাবু।
বিভূতিবাবুর অভিযোগ, যারা বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে ৩৪ বছর আন্দোলন করেছেন এবারের নির্বাচনে সেই কর্মীদেরই দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে৷ জেলায় দলের ২ জন সহ সভাপতি, ২ জন সম্পাদক রয়েছেন। কিন্তু প্রার্থী তালিকা নিয়ে জেলা কমিটি তাঁদের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ করেনি। দলের পুরোনো কর্মীদের অনেকেই টিকিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন৷ প্রকৃত বামপন্থীদের টিকিট দেওয়া হয়েছে৷ এতে পুরাতন মালদা ব্লকে দলের ভিতরেই একটা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যারা দলের ক্ষতি করছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন৷ এনিয়ে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি৷
বিভূতিবাবু সরাসরি কারো নাম উল্লেখ না করে অভিযোগ তুললেও, তাঁর অভিযোগের তির যে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বকশির দিকে, তা নিয়ে সকলেই নিশ্চিত। তবে এনিয়ে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments