পড়ুয়াদের হেনস্তার অভিযোগ অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Aug 8
- 2 min read
অপছন্দের ছাত্রছাত্রীদের নম্বর কমিয়ে দেওয়ার হুমকি, টিউশন না পড়লে ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি, নানা কারণে পড়ুয়াদের হেনস্তার অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যাপিকাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার গৌড় কলেজে। পড়ুয়াদের অভিযোগ যে একেবারে ভিত্তিহীন নয়, তা মেনে নিয়েছেন খোদ কলেজের অধ্যক্ষ।
এক ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা কর্মকার জানান, কলেজের অধ্যাপিকা নাফিসা খান লোদি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। কথায় কথায় ছাত্রছাত্রীদের হুমকি দেন। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে আমাদের থেকে ফাইন আদায় করেন। কিন্তু আমাদের সেই রশিদ দেওয়া হয় না। ওনার কাছে টিউশন না পড়লে উনি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেন। সমস্ত বিষয় আমরা অধ্যক্ষকে জানিয়েছি। উনি উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরেক ছাত্রী তুলিকা মণ্ডল জানান, আমাদের কী কী ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। ছাত্রছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল পর্যন্ত করছেন নাফিসা ম্যাডাম। আমি আগে ওনার কাছে টিউশন পড়তাম। যেদিন থেকে আমি টিউশন ছেড়ে দিয়েছি, সেদিন থেকে উনি আমাকে হেনস্তা করা শুরু করেছেন। ক্লাস না থাকলেও উনি সকলকে কলেজে আসার জন্য চাপ দিতে থাকেন। নম্বর কমিয়ে দেওয়া, ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়ার হুমকিও চলতে থাকে। আমরা সমস্ত ঘটনা অধ্যক্ষকে জানিয়েছি।

গৌড় কলেজের অধ্যক্ষ ড. অসীমকুমার সরকার জানিয়েছেন, মাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা কয়েকটি বিষয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ৷ পড়ুয়াদের সমস্ত অভিযোগ আমরা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে শুনেছি। পড়ুয়ারা যেসব অভিযোগ করেছে, সেসব খুব দুঃখজনক৷ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এনিয়ে আমরা কলেজের ইন্টারনাল বডিগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম৷ সেখানে অভিযুক্ত অধ্যাপিকাকে সতর্ক করা হয়েছিল। এবারে অভিযোগগুলি আমরা আমাদের গভর্নিং বডিতে জানাব৷ গভর্নিং বডি যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্তই কার্যকরী হবে৷
অভিযুক্ত অধ্যাপিকা নাফিসা খান লোদি এনিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের এক পক্ষের কথা শুনলে হবে না৷ অন্য পক্ষের কথাও শুনতে হবে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন