ঘর বিতরণ নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুললেন মৌসম নূর
top of page

ঘর বিতরণ নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুললেন মৌসম নূর

জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী তথা উত্তর মালদার সাংসদ মৌসম নূর আজ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সপার্ষদ দেখা করলেন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূল পরিচালিত মালদা জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘর বিতরণ নিয়ে রাজনীতি করারও অভিযোগ তুলেছেন৷


Mousam Noor

এদিন জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, উত্তর মালদার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে পড়েছে৷ তাঁদের সঙ্গে ওই সব এলাকার স্থানীয় লোকজন বারংবার প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি৷ তাছাড়া জেলার অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাংক নেই৷ নোটবন্দির পরবর্তী সময় থেকে সেই সব এলাকার মানুষজন চরম সমস্যায় রয়েছেন৷ সবচেয়ে বড়ো সমস্যা দেখা দিয়েছে জেলাপরিষদে৷ তাঁরা দেখছেন, গীতাঞ্জলি প্রকল্প নিয়ে এই জেলায় রাজনীতি হচ্ছে৷ জেলা পরিষদের প্রত্যেক সদস্য ওই প্রকল্পে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ২৫টি করে কোটা পাওয়ার অধিকারী৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, জেলাপরিষদের তৃণমূল সদস্যরা নিজেদের কোটার ঘর পেলেও কংগ্রেস সদস্যদের তা দেওয়া হচ্ছে না৷ ফলে জেলাপরিষদের কংগ্রেসি কোনও সদস্য নিজেদের এলাকার গরিব মানুষকে সরকারি ওই প্রকল্পের ঘর দিতে পারছেন না৷ এসব নিয়েই এদিন তিনি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন৷ পুলিশ সুপার জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে চললেও কয়েকটি জায়গায় সেই সমস্যা রয়েছে৷ তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি শুধু মালদা জেলায় নয়, গোটা রাজ্যেই হচ্ছে৷ তবুও তাঁরা এদিন পুলিশ সুপারের কাছে জেলার প্রতিটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানান৷

যদিও মৌসমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল৷ তিনি বলেন, বর্তমানে গীতাঞ্জলি প্রকল্পের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে৷ ব্লক দপ্তরের মাধ্যমেই সেই ঘর এখন প্রকৃত গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়৷ এই প্রকল্পে জেলা পরিষদ সদস্যদের কোনও কোটা নেই৷ সাংসদ না কিছু জেনেই ভুল বলছেন৷ এই প্রকল্পে জেলার কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি৷ ইচ্ছে করলে সাংসদ নিজে এনিয়ে তদন্ত করতে পারেন৷ তিনি না জেনেই এনিয়ে অভিযোগ আনছেন৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page