top of page

ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দল, মন্ত্রীর ফোনের পরও সভায় অনুপস্থিত!

তৃণমূলের শহিদ দিবস কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। প্রতিদিনই জেলার কোথাও না কোথাও প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও যেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সরাতে পারছে না ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি আরও একবার শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সাক্ষী থেকেছে হরিশ্চন্দ্রপুর।


তৃণমূলের শহিদ দিবসের কর্মসূচি সফল করতে রবিবার বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুরের কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ে জেলা সম্মেলন করে তৃণমূলের কিষান খেত মজুর ইউনিয়ন৷ সম্মেলনের আহ্বায়ক ছিলেন রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য তজমুল হোসেন৷ সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন একাধিক রাজ্য নেতৃত্ব সহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলা তৃণমূলের সভাপতি সহ অন্যান্যরা। কিন্তু ওই সম্মলনে অনুপস্থিত ছিলেন দুই জেলা পরিষদের দুই সদস্য মর্জিনা খাতুন ও বুলবুল খান সহ একাধিক নেতানেত্রী। সভামঞ্চ থেকেই অনুপস্থিত নেতানেত্রীদের সভায় অংশ নেওয়া আহ্বান জানান মন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও কেউ সভায় আসেননি।


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের টিকিট নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শাসকশিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। কয়েকদিন আগেই একটি প্রস্তুতি সভাতেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তজমূল হোসেন ও বুলবুলখান। সভামঞ্চেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁদের অনুগামীরাও।

ree

তজমূল হোসেন জানান, একুশে জুলাই কর্মসূচিকে সামনে রেখে রবিবার কিষান খেত মজুর ইউনিয়নের জেলা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য আমি সবাইকে ফোন করে ডেকেছি৷ কারও যদি কোনও কাজ থাকে বা অসুস্থ থাকে তবে সেটা আলাদা বিষয়৷ তবে দলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই৷ গতকালের সভায় ব্লকের ১২টি অঞ্চল থেকেই মানুষ এসেছিল৷


এনিয়ে বুলবুল খান জানান, সম্মেলনের কথা আমি জানি না৷ কাজের জন্য আমি এই মুহূর্তে বাইরে রয়েছি৷ মন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন৷ আমার অভিমানের বিষয়ে পার্টিকে জানিয়েছি৷ এবার পার্টি এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে৷ মর্জিনা খাতুন জানান, আমার ছেলে অসুস্থ৷ তাকে ডাক্তার দেখাতে কলকাতা এসেছি৷


সম্মেলনে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব। রাজ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে পুরো বিষয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছতে চলেছে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page