কালীপুজোয় রূপকথার মায়াবী নীলপরীদের গল্প শোনাবে চাঁচলের ঝংকার
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে রূপকথার গল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। শিশুদের সামনে এই রূপকথার গল্প তুলে ধরতে এবার কালীপুজোর পরীর থিম তুলে ধরছে চাঁচলের ঝংকার বাহিনী। ৪৪ তম বছরে ঝংকার ক্লাবের মা আসছে পরীর বেশে।
বর্তমানে শিশুরা মোবাইল ফোনে আসক্ত। দাদু ঠাকুমার কাছে রূপকথার গল্প শোনা আজ ইন্টারনেটের দাপটে চাপা পড়েছে। শিশুদের শৈশবের বেশিরভাগ সময়টাই পড়াশোনা অথবা ইন্টারনেট-মোবাইল ফোনে কাটছে। রূপকথার গল্প থেকে অনেকটা দূরে সরে এসেছে বর্তমান প্রজন্মের শৈশব। রূপকথার সেই শৈশব ফিরিয়ে আনতে ঝংকার বাহিনীর থিম তৈরি হয়েছে রূপকথার পরীর গল্প দিয়ে। প্যান্ডেল তৈরি করতে পরিকাঠামো হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ফোম, থার্মোকল, স্পঞ্জ, সুতো ইত্যাদি। এবারের পুজোয় তিন লক্ষ টাকার বাজেট। প্যান্ডেলের বাইরে থাকছে বিশাল বড়ো একটি হাঁস। প্যান্ডেলের ভিতরে ঢুকলে দেখা যাবে নীল পরীর স্বর্গরাজ্য। সেই সামঞ্জস্য বজায় রেখে থাকছে আলোকসজ্জা।
ক্লাবের কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ নন্দী জানান, বর্তমান সময়ে বাচ্চারা ফোনে আসক্ত, দাদু ঠাকুমার কাছে রূপকথার গল্প শোনার ধৈর্য কিংবা ইচ্ছা কোনোটাই নেই তাদের। রূপকথার গল্পের প্রতি শিশুদের আগ্রহ আনতে কালীপুজোর থিম হিসেবে রূপকথার সেই পরীর গল্প তুলে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকাবাসীর মনোরঞ্জনের জন্য প্রতিদিনই থাকছে অনুষ্ঠান।
ছবিঃ উজির আলি
Comments