কাকা-ভাইঝির প্রেম থেকে পরিবারে বিবাদ, ধারালো অস্ত্রের কোপ
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- 1d
- 2 min read
কাকার সঙ্গে নাবালিকা ভাইঝির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই থেকে দুই পরিবারে বিবাদ। বিবাদের জেরেই নাবালিকার বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠল কাকার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়৷ ঘটনার পর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত কাকাকে বেধড়ক মারধর করে৷ অভিযুক্ত কাকা বর্তমানে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ৷
নিহত ব্যক্তির নাম মন্টু মণ্ডল (৪৩)। মন্টুর তিন মেয়ে, এক ছেলে৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মণ্টুর এক মেয়ের সঙ্গে নিজের কাকা ভরত মণ্ডলের ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ সম্পর্কে তাঁরা কাকা ভাইঝি। একই বাড়িতে থাকা পরিবারের ছেলেমেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে তা অনুমান করতে পারেননি কেউই। মাস ছয়েক আগে ভরতের ছেলে ও মণ্টুর নাবালিকা মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপরেই বিষয়টি জানতে পারেন সকলে। তখন থেকে দুই পরিবারের সম্পর্কে ফাটল ধরে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও দুজনের সন্ধান না মেলায় দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা আরও বেড়ে যায়৷

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সম্প্রতি মন্টুর মেয়ে বাড়ি ফিরে এলেও ভরতের ছেলে বাড়ি ফেরেনি। এনিয়ে ভরত ও তাঁর পরিবার মন্টুর মেয়েকে সন্দেহ করতে শুরু করে৷ এনিয়ে বিবাদ বাড়তে থাকে। গতকাল রাতে সামান্য কথা কাটাকাটির মধ্যে হঠাৎ ভরত ধারালো হাঁসুয়া নিয়ে মন্টুর উপর হামলা চালায়। মণ্টুর পেট, বুক ও গলায় একের পর এক কোপ মারতে থাকে ভরত। চিৎকার চেঁচামেচিতে গ্রামবাসীরা ছুটে এসে মন্টুকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। ততক্ষণে মণ্টুর মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের একাংশ ভরতকে মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ৷ পুলিশকর্মীরা গুরুতর আহত ভরতকে হাসপাতালে নিয়ে যান৷
নিহত মন্টুর মা সাবিত্রী মণ্ডল জানান, গতকাল রাতে দেওরের (ভরত) সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হচ্ছিল৷ সেই সময় ভরত আমাকে ধাক্কা মারে৷ ছেলে এর প্রতিবাদ করে ভরতকে প্রশ্ন করে কেন সে আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। তারপরেই ভরত ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছেলেকে কোপাতে থাকে। এর আগে ছেলেমেয়ের প্রেম নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। কিন্তু গতকাল সেসব নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments