ইকো ট্যুরিজম পার্ক নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল মালদাবাসী। স্বপ্নপূরণের জন্য কাজও শুরু হয়েছিল। তবে এখন মালদাবাসীর স্বপ্নের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মৎস্য দফতর। ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সাগরদিঘিতে নির্মীয়মাণ ইকো ট্যুরিজম পার্কের কাজ আপাতত মৎস্য দফতরের হস্তক্ষেপে বন্ধ রয়েছে।
শহর থেকে প্রচুর মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছে ইকোপার্কে
সাগরদিঘিতে বিভিন্ন মাছের নামে ৫টি পর্যটক আবাস তৈরি করা হয়েছে। পার্কে ১০৫টি শেডের তলায় বসানো হয়েছে চেয়ার৷ নির্মাণ করা হয়েছে ৫টি ওয়াচ টাওয়ারও। গোটা এলাকায় বসানো হয়েছে সৌরবাতি৷ তবে কয়েকটি শেডের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। মৎস্য দফতরের হস্তক্ষেপে বন্ধ রয়েছে ইকোপার্কের কাজ। এদিকে, ইকোপার্কের কাজ শেষ না হলেও শহর থেকে প্রচুর মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছে ইকোপার্কে।
ইংরেজবাজারের বিডিও সৌগত চৌধুরি বলেন, সাগরদিঘিতে ইকো ট্যুরিজম প্রকল্পের কাজে মৎস্য দপ্তর আর কাজ করার অনুমতি দিচ্ছে না৷ সেখানে অনেক কাজ করার কথা ছিল৷ কিন্তু মৎস্য দফতরের এমন সিদ্ধান্তে বর্তমানে সেখানে কোনো কাজ করা যাচ্ছে না৷ এনিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের পাশাপাশি সেখানে একটি কর্মতীর্থ গড়ে তোলারও পরিকল্পনা ছিল৷ এখনও পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৮ কোটি টাকার কাজ হয়েছে।
ইকোপার্কের কাজ পুনরায় চালু করতে মৎস্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবঃ নীহাররঞ্জন ঘোষ
জেলা মৎস্য দফতরের সহকারী ডিরেক্টর নীলোৎপল রায় জানান, ১০০ দিন প্রকল্পে সাগরদিঘিতে কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত কাজ করছিল৷ তবে ইকো ট্যুরিজমের কাজ চলছিল কিনা তা তিনি জানেন না। সম্প্রতি দফতরের ডিরেক্টর এসে নির্দেশ দিয়ে গেছেন, অন্য কোনো দফতর যদি এখানে কোনো কাজ করতে আসে, তবে সেই দফতরকে মৎস্য দফতর কিংবা ডিরেক্টরের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই কাজ করতে হবে।
এপ্রসঙ্গে ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ জানান, সাগরদিঘিতে ইকো ট্যুরিজমের কাজ বন্ধ হয়েছে তা তাঁর জানা নেই। কৌশিক ভট্টাচার্য জেলাশাসক থাকাকালীন এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জেলার পর্যটনকে আরও উন্নত করতে ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির কাজও অনেকটা হয়ে এসেছিল। ইকোপার্ক পুনরায় চালু করতে জেলাশাসক, প্রয়োজনে মৎস্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার কথাও জানান নীহারবাবু।
Comments