সরকারি হাসপাতালে আয়াদের রাজত্বের অভিযোগ
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- Sep 16
- 1 min read
সরকারি হাসপাতালে আয়াদের রাজত্বের অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের সরকারি হাসপাতালে। গর্ভবতী মহিলাদের পরিবারকে ব্ল্যাক মেইল করে আয়ারা মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এক গর্ভবতী মহিলার দাদা এনিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ পেয়েই ইতিমধ্যে দুজন আয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকেও বিশেষভাবে নজরদারি চালানোর কথাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
আবদুল মালেক নামে এক ব্যক্তি জানান, যেদিন বোনকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করি তার পরেরদিন বোনকে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়৷ লেবার রুমে নিয়ে যাওয়ার পর আয়ারা জানায়, পাঁচ হাজার টাকা না দিলে ওরা বোনকে চাঁচল কিংবা মালদা রেফার করে দেবে৷ লেবার রুমে যখন রোগী যন্ত্রণায় ছটফট করে তখনই ওরা প্ল্যান মাফিক টাকা চায়৷ যাতে রোগীর কথা ভেবে পরিবারের লোকজন সেই টাকা দিতে বাধ্য হয়। আমাকেও বাধ্য হয়ে ২ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। বিষয়টি আমি হাসপাতালের চিকিৎসককে জানাই। কিন্তু চিকিৎসক বিষয়টি মানতে রাজি হননি। উনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন। পরে উনি আমাকে ডেকে পাঠিয়ে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিতে বলেন৷ সেই অনুযায়ী আমি অভিযোগপত্র দায়ের করি৷

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটছে তা কর্তৃপক্ষের জানা ছিল না। এতদিন কেউ এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেতেই দুই আয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ভবিষ্যতে এমন অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
এদিকে হাসপাতালে কর্তব্যরত আয়াদের দাবি, কোনও গর্ভবতী সুস্থ সন্তান প্রসব করলে তাঁরা কিছু বকশিস দাবি করেন৷ পরিবারের লোকজনও হাসিমুখেই বকশিস দেন৷ কিন্তু তাঁরা জোর করে কখনও টাকা আদায় করেন না৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments