আবাস যোজনায় একই উপভোক্তার নামে দুই আইডি থাকার অভিযোগ
একই উপভোক্তার নামে দুটি করে আইডি বানিয়ে টাকা ঢোকানোর অভিযোগ। সেই অভিযোগের জেরে তৃণমূল ও সিপিআইএমের মধ্যে বচসা। বচসার জেরে আহত দুই। আহতরা বর্তমানে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের তরফ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা আনোয়ার কবির ও উপভোক্তার একাংশ মিলে বৃহস্পতিবার বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ করে। তাঁদের অভিযোগ, মহেন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতের সিপিআইএম-এর সদস্য রবিনা খাতুন ও তাঁর স্বামী গোলাম মর্তুজা এবং নোডাল অফিসার মোহম্মদ ইয়াসিন একই উপভোক্তার নামে দুটি আইডি করে দু’বার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা ঢুকিয়েছেন। অথচ অন্যান্য উপভোক্তারা টাকা পাননি।
আনোয়ার কবির জানান, ভবানীপুর পূর্ব বুথে প্রায় ৮-১০ জন উপভোক্তার নামে দুই দুইটি করে ঘরের আইডি রয়েছে। উপভোক্তারা প্রথম আইডি'র টাকা পেয়ে ইতিমধ্যে ঘর তুলে নিয়েছে। আবার সেই উপভোক্তার দ্বিতীয় আইডি দেখিয়ে নোডাল অফিসারকে হাতে করে পরিবারের অন্য সদস্যের নামে টাকা ঢোকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পঞ্চায়েত সদস্যা রবিনা খাতুন ও তার স্বামী গোলাম মর্তুজা। এর প্রতিবাদে বিডিওকে অভিযোগ করা হয়েছিল। বিডিও তদন্ত করে গেলে সিপিআইএম-এর কর্মীরা প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে এবং তাঁর দলের লোকেদের মারধর করে।
গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য রবিনা খাতুনের স্বামী গোলাম মর্তুজা জানান, ২০১৪-১৫ সালের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় ভবানীপুর পূর্ব বুথে প্রায় ২০০ উপভোক্তার নাম রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশিরভাগই উপভোক্তারা তিনটি কিস্তির মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেয়ে ঘর তুলে নিয়েছে। মাত্র ১০-১২ জন উপভোক্তারা প্রথম কিস্তির টাকা পাননি। ভুলবশত দ্বিতীয় আইডিতে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা পুরোপুরি সত্য নয়। বিডিও তদন্ত করে দ্বিতীয় আইডি বাদ দিয়ে দিতেই পারেন। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন মিথ্যে অভিযোগ করে মারধর করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
[ আরও খবরঃ পাশ করানোর দাবিতে স্কুলে তালা, রাজ্য সড়ক অবরোধ ]
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários