আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Aug 20, 2019

সংশোধনাগারে বন্দির মৃত্যু, প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ

Updated: Aug 14, 2020

বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এক বন্দির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ ওই বন্দির স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামীকে সংশোধনাগারের মধ্যেই খুন করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত দাবি করছেন তিনি৷ যদিও এনিয়ে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি৷

মৃত ব্যক্তির নাম প্রভাত দাস (৪৮)৷ তাঁর বাড়ি পুরাতন মালদা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর কলোনিতে৷ ৫ বছর আগে পারিবারিক সংঘর্ষের জেরে তাঁকে গ্রেফতার করে মালদা থানার পুলিশ৷ বিচারে তাঁর ৬ বছরের কারাদণ্ড হয়৷ বিভিন্ন সংশোধনাগার ঘুরে কিছুদিন আগে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে৷ গতকাল সকালে সেখান থেকে বাড়িতে খবর আসে, প্রভাতবাবু অসুস্থ৷ সেকথা শুনে বহরমপুর ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা৷ কিন্তু সংশোধনাগার কিংবা হাসপাতালে নয়, তাঁর মৃতদেহের হদিস মেলে হাসপাতাল মর্গে৷

স্বামীর এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না প্রভাতবাবুর স্ত্রী মমতাদেবী৷ তিনি বলেন, গত রবিবার সন্ধেয় ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তাঁর স্বামী৷ তখনও শারীরিক কোনও সমস্যার কথা তিনি জানাননি৷ বরং এক বছর পর তিনি ছাড়া পেতে চলেছেন বলে আনন্দেই ছিলেন৷ সোমবার সকালে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ফোন করে তাঁদের জানায়, তাঁর স্বামী অসুস্থ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বহরমপুর ছুটে যান৷ সেখানে গিয়ে দেখেন, তাঁর স্বামীর মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে৷ মৃতদেহের ময়নাতদন্তও ততক্ষণে শেষ৷ তিনি যতদূর জানেন, পরিবারের লোককে কিছু না জানিয়ে কোনও বন্দির মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা বেআইনি৷ সেই আইন জেনেও বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ কেন এই সিদ্ধান্ত নিল? তবে কি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? তিনি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছেন৷

প্রতীকী ছবি।