নির্বাচনের আগে একগুচ্ছ ইশ্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর
top of page

নির্বাচনের আগে একগুচ্ছ ইশ্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করল বিজেপি। আজ দুপুরে গাজোলের শঙ্করপুর বিএসএ ময়দানে একটি কর্মীসভার আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভা মঞ্চ থেকে রাজ্যের শাসকদলকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিকেও বিদ্রূপ করলেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷


সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের ৩৪ লাখ মহিলা উজ্জ্বলা যোজনায় রান্নার গ্যাস পেয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চালু হয়েছে৷ দেশে ১২ কোটির বেশি ঘর ওই যোজনায় তৈরি হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে ৪০ লাখ ঘর দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে সেসব এসে পৌঁছয়নি। কারণ, তৃণমূল সব টাকা লুঠ করে নিয়ে পালিয়েছে। যারা যোজনার সুবিধে পেয়েছেন তাঁদের থেকেও ২০-৩০ হাজার টাকা করে কাটমানি নিয়েছে তৃণমূল। ২০১৮ সালে আবাস যোজনায় যে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল, তাতে প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম ছিল না। তালিকায় ছিল তোলামূলের লোকজনের নাম। সেই তালিকায় তৈরি করেছিল তৃণমূলের লোকজন। আর এখন যখন সব ধাপ্পাবাজি সামনে এসেছে তখন আশাকর্মীদের পাঠানো হচ্ছে সার্ভে করতে। আশাকর্মীদের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।



শুভেন্দু আরও বলেন, ২০১৫ সালে কিষান সম্মান নিধি চালু হয়েছে৷ দেশের প্রতিটি রাজ্যের কৃষকরা এর সুবিধে পেয়েছেন৷ কিন্তু পিসিমনি পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প চালু করেননি৷ কারণ, প্রধানমন্ত্রীর নাম রয়েছে৷ ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পে কৃষকদের তালিকা পাঠানোর আবেদন জানান৷ অবশেষে ২ দফায় ৩১ লাখ কৃষকের তালিকা পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল রাজ্য সরকার৷ সেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে তিন দফায় ৬ হাজার টাকা ঢুকেছে৷ কিন্তু রাজ্যে মোট কৃষকের সংখ্যা ৭৩ লাখ৷ বাকি ৪২ লাখ কৃষকের নাম এখনও দিল্লিতে পাঠানো হয়নি। তোলামূলের এই দল সাদা খাতাতে চাকরি দিয়েছে। পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণদের অঙ্কের শিক্ষক বানিয়েছে। পুকুর নেই, অথচ ১০০ দিনের কাজে পুকুর কাটা হয়েছে। অপা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে এই দল। এই হচ্ছে তৃণমূলের আসল রূপ। আগামী পঞ্চায়েতে এই তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে হবে।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page