জেলার রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের জল্পনা
top of page

জেলার রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের জল্পনা

একুশের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, জেলার রাজনৈতিক সমীকরণ ততই জটিল হয়ে উঠছে। বাম-কংগ্রেস থুড়ি সিপিএম-কংগ্রেস জোট নিয়ে আলোচনার মাঝেই আব্বাস সিদ্দিকির অবতরণ।



ফুরফুরা শরিফে হাজির কোতোয়ালির দুই হেভিওয়েট নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরি ওরফে ডালু মিঞা ও তাঁর বিধায়ক পুত্র ইশা খান চৌধুরি। সেখানে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার সারমর্ম নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কারণ বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কোনো তরফই।


বাংলার রাজনীতিতে ঠিক যখন হায়দরাবাদ থেকে উড়ে আসা আসাউদ্দিন ওয়েইসি শিকড় বিস্তারের চেষ্টা করছেন, ঠিক তখনই পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিও রাজনীতির আখড়ায় নেমে পড়েছেন। আর এমন মুহূর্তেই ফুরফুরা শরিফে দখিন মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ও সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরির আব্বাস সিদ্দিকির বৈঠক অন্য সমীকরণকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।



এটাকে বৈঠক অবশ্য বলতে চাননি কোতোয়ালি পরিবারের অন্যতম সদস্য ইশা খান চৌধুরি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ।



ইশা খান চৌধুরি যাই বলুন না কেন, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা কিন্তু থামছে না। তার বড়ো কারণ হল মিম। মিম আব্বাস সিদ্দিকিকে জোট করে লড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে আসাউদ্দীন ওয়েইসির সমঝোতা হলে তার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে মালদা-মুর্শিদাবাদে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই দুই জেলায় ফুরফুরা শরিফ-মিম যোগ ভোটের অঙ্ক ওলট-পালট করে দিতে পারে। মালদার ১২টি আসনে এই সমঝোতার প্রভাব নিয়ে মুখে না বললেও কংগ্রেসের চিন্তা বাড়ছে। সূত্রের খবর, সে কারণে নিজেদের পারিবারিক বন্ধু আব্বাস সিদ্দিকিকে বোঝাতে গিয়েছিলেন ডালু-ইশারা।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page