বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা, ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টায় প্রশাসন
top of page

বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা, ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টায় প্রশাসন

এবার বিপদসীমা অতিক্রম করল গঙ্গা। গত বেশ কয়েকদিন ধরে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই হলেও চলতি মরশুমে এই প্রথম বিপদসীমা অতিক্রম করল গঙ্গা। গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধিতে জেলার বেশ কিছু অংশে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। জল ঢুকে পড়েছে বেশ কিছু জনবসতি এলাকায়। তবে ওই এলাকাগুলোতে এখনও প্রশাসনিক সাহায্য না পৌঁছোনোয় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকাগুলিতে। যদিও জেলাপরিষদের সভাধিপতি জানিয়েছেন, দুর্গত মানুষজনের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন তিনি৷



আজ সকালে গঙ্গা নদীর জলস্তর ছিল ২৪.৭২ মিটার৷ যা বিপদসীমা (২৪.৬৯ মিটার) থেকে ৩ সেন্টিমিটার বেশি৷ তবে গত দুদিনে যে গতিতে নদীর জলস্তর বেড়েছে, তাতে খুব শীঘ্রই অতি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে গঙ্গা, এমনটাই মনে করছেন গঙ্গা তীরবর্তী বাসিন্দারা।

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ভারতে আরও বেশ কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। সেই জল বেয়ে নীচে নেমে আসছে। ফলে জেলায় আরও কয়েকদিন গঙ্গার জলস্তর বাড়তে পারে। তবে এই মুহূর্তে জেলার অন্য দুই প্রধান নদী, ফুলহর ও মহানন্দার জলস্তর ক্রমাগত কমছে৷ আজ সকালে ফুলহরের জলস্তর ছিল ২৬.২৯ মিটার ও মহানন্দার জলস্তর ছিল ১৯.৯৩ মিটার৷ জেলা সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত জানিয়েছেন, তাঁরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন৷ যথাসময়েই সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷




মানিকচকের বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত জানান, গঙ্গার জলস্তর বাড়ায় নীচু চরগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে৷ অনেক মানুষ বিপন্ন হয়ে পড়েছে বলে খবর পেয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত প্রধানকে দুর্গতদের তালিকা তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছে৷ কিন্তু সেই তালিকা এখনও না আসায় ত্রাণ বিলি করা যায়নি।


মালদা জেলার টাটকা নিউজ এখন আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে। বিনামূল্যে পড়তে এখানে ক্লিক করুন


টপিকঃ #গঙ্গা

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page