পুর এলাকায় প্রথম কনটেন্টমেন্ট ঘোষণা, শুনসান রাস্তাঘাট
গত দুইদিনে মালদায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। জেলায় প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর হদিশ মেলে এপ্রিলের ২৭ তারিখ। এরপর মাত্র ৪৭ দিনের মাথায় সেই সংখ্যা তিনশো ছাড়ায়। রবিবার প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে পুরাতন মালদা পুরসভায়৷ রাতেই ওই এলাকাকে কনটেন্টমেন্ট জোন ঘোষণা করে আক্রান্তের বাড়ি সিল করেছে প্রশাসন৷ মালদা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়৷
জেলার দুই পুরসভার একটিতে আগেই দু’জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। একজন ছিলেন ইংরেজবাজারের কৃষ্ণকালীতলা এলাকার বাসিন্দা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নার্স এবং অপরজন বালুচরের বাসিন্দা, মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তা রক্ষী। তবে এই প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল পুরাতন মালদা পুরসভায়৷ ওই পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড সামুন্ডাই কলোনিতে বাড়ি সংক্রমিতের। জুন মাসের প্রথমদিকে গুজরাত থেকে ফিরেছিলেন ওই ব্যক্তি। ভিনরাজ্য থেকে ফিরে প্রথমে বাড়িতেই ছিলেন কিন্তু প্রতিবেশীদের আপত্তিতে তাকে পুরাতন মালদা পুরসভার কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে যে লালারসের নমুনা সংগ্রহ হয় সেই পরীক্ষার রিপোর্ট গতকাল ‘পজিটিভ’ আসে। তড়িঘড়ি রাতেই তাকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর এলাকাকে কনটেন্টমেন্ট জোন ঘোষণা করে আক্রান্তের বাড়ি সিল করেছে প্রশাসন৷ এই প্রথম জেলায় কোনও পুর এলাকাকে কনটেন্টমেন্ট ঘোষণা করা হল। মালদা থানার পুলিশের তরফে এলাকাকে বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে৷ পাশাপাশি জন সচেতনতায় মাইকিং করা হয়েছে এলাকায়।
[ আরও খবরঃ গৌড়ের পূণ্যভূমেও করোনার থাবা, এবছর বন্ধ রামকেলি মেলা ]
এলাকাবাসী জানালেন, বর্তমানে গোটা এলাকা নিস্তব্ধ, ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না৷
পুরাতন মালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড সামুন্ডাই কলোনির বাসিন্দা সমীরণ হালদার জানান, মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকায়৷ অন্য রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার পরে আক্রান্ত এলাকার বেশ কিছু লোকের সংস্পর্শে এসেছে৷ প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকজনদের চিহ্নিত করে করোনা টেস্ট করা হোক৷ গতকাল রাতেই পুলিশ ওই ব্যক্তির বাড়ি সিল করে দিয়েছে৷ বর্তমানে গোটা এলাকা নিস্তব্ধ, ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না৷
Comentários