top of page

পুরো বাংলার নাম বদনাম করছে তৃণমূল নেতারা কটাক্ষ কৈলাসের

এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ রাখে না। উনি মনে করে অন্য এক দেশের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। যখন দেশ ভাগ হয় তখন মালদার পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল। সেই সময় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বাংলা বাঁচাও আন্দোলন করেছিলেন। এই বাংলার যদি প্রথমে কারও অধিকার থাকে তবে তা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির। মালদায় কর্মীসভায় যোগদান করতে এসে মন্তব্য করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।



আজ দুপুর ১২টায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে সভা করার কথা ছিল। সভায় যোগদান করেছিলেন সায়ন্তন বসু, খগেন মুর্মু, সুকান্ত মজুমদার, রথীন্দ্র বোস সহ জেলা নেতৃত্বরা। তবে চপার না মেলায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। অবশেষে বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ মালদা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের চপার। সেখান থেকে তিনি সোজা চলে যান কর্মীসভায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৈলাসজী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন।



তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্গত। কিন্তু মমতা দিদি আমাদের বহিরাগত বলেন। আমরা কি বহিরাগত? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি যখন পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন। তখন তাঁর ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল। এটা কি বাংলার সংস্কৃতি? আমি মনে করেছিলাম রাজ্য হয়ত কোনো পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু বহিরাগতদের রাজ্যে আসার কি প্রয়োজন ছিল এমন মন্তব্য করা হয়। শুধু তাই নয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে নাড্ডা-ফাড্ডা-চাড্ডা যাতা বলে অপমান করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুরো বাংলার নাম বদনাম করেছে তৃণমূল নেতারা।




কৈলাসজী আরও বলেন, এখন এটা সোনার বাংলা নয়, কয়লার বাংলা হয়ে গেছে। কয়লা পাচার, কাটমানি, গোরু পাচার সবই করছে ভাইপো। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য ছয় হাজার টাকা করে দিচ্ছে। দেশের সমস্ত রাজ্যের কৃষকরা এই সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের এই সুবিধা পেতে দিচ্ছে না। দিদি বলছেন, কৃষকদের টাকা রাজ্য সরকারের কাছে দিতে হবে। কেন, কৃষকদের টাকা থেকেও কাটমানি চাই নাকি? রাজ্য থেকে কয়লা পাচারকারী সরকার, গোরু পাচারকারী সরকারকে উৎখাত করতে হবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page