top of page

চাকরির সুপারিশ পত্রে জাল স্বাক্ষর! পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন মন্ত্রী

খোদ মন্ত্রীর বিধায়কের প্যাডে তাঁরই স্বাক্ষর ও সিলমোহর সংবলিত চাকরির সুপারিশ পত্র! এমনটাই ঘটেছে মালদায়। আর সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এনিয়ে বিরোধীরা এখনও সরব না হলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শাসকদলের অন্দরমহলেই। এই মুহূর্তে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর দিল্লিতে থাকায় এই ঘটনায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও মন্ত্রী দাবি করেছেন, প্যাডটি তাঁর হলেও তাতে তাঁর স্বাক্ষর ও সিলমোহর জাল করা হয়েছে। তিনি এনিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও গোটা ঘটনার তদন্ত করছেন। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তাঁর জাল স্বাক্ষর করে কেউ বা কারা তাঁর প্যাড ব্যবহার করে তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করেছিল।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের তিনটি দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে ঘিরে। তিনি মোথাবাড়ির বিধায়ক। তাঁর বিধায়ক প্যাডেই লেখা হয়েছে চাকরির সুপারিশ পত্র। চিঠির নীচে স্বাক্ষর রয়েছে তাঁর। মালদা ডিভিশনের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নির্বাহী বাস্তুকারকে উদ্দেশ্য করে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কালিয়াচক থানার জোতপরম এলাকার বাসিন্দা সুব্রত ঘোষ, বাবা দিলীপ ঘোষ তাঁর পরিচিত এবং অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সুব্রত আলিনগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি বেকার এবং দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাঁকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সিকিউরিটি গার্ড, অপারেটর, অফিসকর্মী কিংবা কোনও প্ল্যান্টের কাজে কনসিডার করার অনুরোধ করা হচ্ছে।


এই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় জেলা তৃণমূলের অন্দরে। ওই প্যাডে থাকা সাবিনার স্বাক্ষর যে তাঁরই, তা মেনে নিয়েছেন শাসকদলের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সবাই। কিন্তু কীভাবে এই চিঠি প্রকাশ্যে চলে এল, তা কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না। জেলা তৃণমূলের অন্যতম কোঅর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। একজন মন্ত্রী হয়ে সাবিনা নিশ্চয়ই এমন কাজ করতে পারেন না। কারণ, কী করা উচিত আর কী নয়, তা তিনি ভালোভাবেই জানেন।


[ আরও খবরঃ আবাস যোজনায় একই উপভোক্তার নামে দুই আইডি থাকার অভিযোগ ]



এদিকে সাবিনা জানাচ্ছেন, “এটা আমাকে বদনাম করার একটি চক্রান্ত। কারণ, যে চাকরির সুপারিশ পত্র নিয়ে কথা উঠছে, সেই চিঠি সংশ্লিষ্ট দফতরে জমাই পড়েনি। তার আগে ওই চিঠি কীভাবে বাইরে এল? এটা ঠিক, মানুষের সমস্যার কথা ভেবে আমাদের বিধায়ক প্যাড বিভিন্ন জায়গায় রাখতে হয়। বিশেষ প্রয়োজনে সেই প্যাডে চিঠি লিখে আমাদের দিয়ে স্বাক্ষর করানো হয়। এক্ষেত্রে কেউ বা কারা আমার বিধায়ক প্যাড আমাকেই বদনাম করতে ব্যবহার করেছে। এর আগেও আমার প্যাড ব্যবহার অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেবারও আমি গোটা ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। এবারও আমি এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করছি।”


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page