মালদা মেডিকেল কলেজে চোরেদের দাপট অব্যাহত
চোরেদের দাপটে চরম অস্বস্তিতে মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রোগী সহ পরিবারের লোকজন। প্রায়শই উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা পয়সা, অলঙ্কার এমনকি মোবাইল ফোন পর্যন্ত। রোগীরা প্রায় মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এদিনও মেডিকেলে মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে বেশ চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে। এব্যাপারে মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার জানান, প্রয়োজনের তুলনায় তাঁদের কাছে নিরাপত্তারক্ষী কম। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তারক্ষীর জন্য তিনি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
পুখুরিয়া থানার রানিনগর গ্রামের বাসিন্দা তারামুদ্দিন শেখ মাথায় চোট পেয়ে গত ৪ দিন ধরে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল রাতে তাঁরই মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল। তারামুদ্দিন জানান, রাত হলেই ওয়ার্ডে ভিড় বাড়ছে বহিরাগতদের। তিনি এনিয়ে তাদের প্রশ্নও করেছেন অনেকে। তারা জানিয়েছে, তাদের রোগী নাকি ওই ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। দু'দিন আগে তিনি নিজে এক চোরকে ধরে ফেলেন। তাকে পুলিশের হাতেও তুলে দেন। গতকাল রাতে চোরের দল তাঁর মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়েছে। এই ঘটনায় তিনি মেডিকেলের এমএসভিপির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁ মেডিকেলে দুষ্কৃতীদের উপস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তার সঙ্গে তিনি মেডিকেলে নিরাপত্তারক্ষীর অভাবের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন। অমিতবাবু বলেন, মেডিকেলের আউটডোরে প্রতিদিন সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার রোগী চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন। এদিকে আউটডোরে অত মানুষের জায়গা নেই। ভিড়ের মধ্যে চোরের দল সক্রিয় হয়ে ওঠে। এদিকে তাঁদের হাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীও নেই। সব মিলিয়ে এখন মাত্র ৬২ জন নিরাপত্তারক্ষী তিন শিফটে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এতে নিশ্চিতভাবেই সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু এই হাসপাতালে আয়া প্রথা নেই, তাই তাঁরা প্রত্যেক রোগীর সঙ্গে তাঁর পরিবারের একজন সদস্যকে থাকার অনুমতি দেন। তারপরেও কীভাবে ওয়ার্ড থেকে জিনিসপত্র চুরি যাচ্ছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক
Комментарии