দৈনিক সংক্রমণ একধাক্কায় ৯০ ছাড়িয়ে গেল
top of page

দৈনিক সংক্রমণ একধাক্কায় ৯০ ছাড়িয়ে গেল

গত কয়েকদিন ধরে জেলায় সংক্রমণের বৃদ্ধি পঞ্চাশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু শেষ দুইদিন, জেলায় সংক্রমণের মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেল। সোমবার জেলায় আক্রান্ত হয় ৭৫ জন, আর শেষ ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যাটি ৯৪। জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৯৯। এদিকে কন্টেনমেন্ট জোনে বাড়ানো হয়েছে লকডাউন। তবে এই বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।


90 more infection in a single day

এদিকে করোনার জেটযাত্রা রুখতে কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পুরোনো নিয়মেই চলবে এই লকডাউন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ রাজ্যের সমস্ত জেলার সমাহর্তাকে গতকাল জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গভীররাত পর্যন্ত জেলা পুলিশের তরফে কন্টেনমেন্ট এলাকায় মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে এই বিষয়ে। বুধবার সকালে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ট্রাফিক পুলিশ সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পড়ার আবেদন জানান।


স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে সংক্রমণ হয়েছে ৯২ জনের। নতুন সংক্রমিতের মধ্যে আছেন পুলিশকর্মী, ডাক্তার, এমনকি এক বছরের শিশুও। এদিন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ রতুয়া এলাকায়। রতুয়ার বাহারাল, রুকুণ্ডিপুর, কাঞ্চননগর ইত্যাদি এলাকায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন। এরমধ্যে একজন ছাড়া বাকি সকলেই রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা। ইংরেজবাজার শহরে এদিন ১৭ জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দু’জন সুভাষপল্লি ও ১ নং গভর্মেন্ট কলোনির বহুতল আবাসনে বসবাস করেন। এছাড়া কালিয়াচকের তিনটি ব্লক মিলে মোট সংক্রমণ ১০, পুরাতন মালদা ও হরিশ্চন্দ্রপুরের পাঁচজন রয়েছেন।




বুধবার সকাল এগারোটা বেজে গেলেও পুরাতন মালদা পুরসভার মঙ্গলবাড়ি চৌরঙ্গি মোড় এলাকার কাঁচা সবজির বাজার খোলা থাকতে দেখা গেছে। খোলা ছিল রাজীব গান্ধি পুরবাজারের সমস্ত দোকান। শহর জুড়ে যত্রতত্র যাত্রীবোঝাই করে টোটো ও অন্যান্য যানবাহন দাপিয়ে বেড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, নতুন লকডাউনের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম কোনও বার্তা দেওয়া হয় নি। তাই এদিন দুপুর তিনটা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা হয়েছে। হকার্স ইউনিয়নের একাংশ বিক্রেতাদের বক্তব্য, লকডাউনের জেরে ফুটপাতে ব্যবসা করতে না পেরে চরম অর্থ সংকটের মুখে পড়েছেন তাঁরা। রাস্তার ধারে দোকানগুলো পুলিশ উঠিয়ে দিচ্ছে। অথচ সমস্ত মার্কেট খোলা রয়েছে, সে ব্যাপারে ভ্রূক্ষেপ নেই পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে হকারেরাও রাস্তায় দোকান সাজিয়ে বসবেন বলে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।


টপিকঃ #CoronaVirus

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page