আমবাগানে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
- Mar 13, 2020
- 1 min read
আমবাগান থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর অঞ্চলের ইসলামপুর গ্রামে। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তে জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে গৃহবধূর স্বামী ওসমান আলিকে আটক করেছে পুলিশ।
মৃত গৃহবধূর নাম রেশমা খাতুন (২৯)। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় বছর আগে রেশমা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় ওসমান আলির। বিয়ের সময় ওসমান আলিকে ১০ কাঠা জমি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও আর্থিক অভাবে সেই জমি দিতে পারেনি পরিবারের লোকজন। মৃত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, জামাইকে ১০ কাঠা জমি না দেওয়ায় রেশমাকে খুন করেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আজ সকালে মহেন্দ্রপুর এলাকার একটি আমবাগানে গাছের ডাল থেকে রেশমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওসমান আলির দুটি বিয়ে। বছর সাতেক আগে বিহারের আজিমনগর থানার দানিয়া এলাকায় গুল্লি বিবিকে বিয়ে করেন। তিনবছর সংসার করার পর গুল্লি বিবি স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। গুল্লি বিবির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পরিবারের দাবি, সাত বছরের মেয়েকে আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে ছেলেকে নিয়ে তিনি অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সেখানে বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষের মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসার কথাও ছিল বলে জানা যায়।
রাশেদ আলি, রেশমা খাতুনের দাদা
বোনের বিয়ে দেওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, জামাইবাবু ও বোনের নামে পাঁচ কাঠা জমি দেওয়া হবে। বিয়ের দেড় বছর কেটে গেলেও জমি দিতে না পারায় বোনের পরিবারে অশান্তি চলত। তাঁর বোন এমনিতেই প্রতিবন্ধী তার ওপরে মানসিক রোগী। মানসিক অবসাদে হয়তো আত্মহত্যা করেছে বলে অনুমান।
এদিকে, অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।
Bình luận