আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Nov 17, 2020
জানা যায়, রক্ষাকালীর পুজো শুরু হয়েছিল চাঁচলের রাজা ঈশ্বরচন্দ্র রায়চৌধুরি বাহাদুরের হাত ধরে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রজাদের মঙ্গলের জন্য এই পুজো শুরু করেছিলেন তিনি। বর্তমানে রাজা নেই, রাজপাটও চলে গিয়েছে সেই কবে। রাজা না থাকলেও রাজার হাত ধরে চালু হওয়া সেই পুজো কিন্তু রয়ে গেছে। তারা হাল ধরেছে স্থানীয় মানুষজন। প্রতি বছর পুজো হয় সেই প্রাচীন রীতি মেনেই।
এই পুজোর বিশেষত্ব হল কার্তিক মাসের সংক্রান্তির দিন পুজোর আয়োজন করা হয়। মাকে অন্যান্য ভোগের সঙ্গে মাছের ঝোল নিবেদন করা হয়। পুজো চলে গভীর রাত পর্যন্ত। পুজো শেষ হয়ে গেলে রাতে মায়ের কাছে নিবেদন করা হয় সেই ভোগ। ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ ও অন্যভোগও বিতরণ করা হয়। দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় এই পুজো ঘিরে। পুজোর পরের দিন সন্ধ্যাবেলা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় চাঁচলের রানীদীঘিতে। দেবীর বেদীর সামনে একটি পুকুর রয়েছে, সেই পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
[ আরও খবরঃ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে বসল ভাইফোঁটার আসর ]
এবার করোনা আবহে মানুষজন মুখে মাস্ক পড়ে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই পুজোয় অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করছেন রক্ষাকালী পুজো কমিটির সম্পাদক প্রবীরকুমার মুখার্জি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন