গৌড়বঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন
top of page

গৌড়বঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

প্রথম অভিযোগ করে জেলা বিজেপি, পরবর্তীতে সেই একই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল খোদ শিক্ষামন্ত্রীর গলায়৷সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশও দেয় রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর৷অবশেষে রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযানের (রুশা) পাঠানো প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচে বেনিয়মের অভিযাগ নিয়ে তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করলেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য৷অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) আর ভিমলাকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই কমিটি তদন্তের কাজ শুরু করতে চলেছে৷ কিন্তু এনিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ সুব্রতকুমার মল্লিক নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কমিটির সদস্য৷ তাঁকে কীভাবে এই তদন্ত কমিটিতে রাখা হল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন৷এই বিষয়টি জেলাশাসকের নজরে আনার চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মহল৷


গৌড়বঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

প্রায় ১৬ কোটি টাকা রুশার পক্ষ থেকে এসেছে৷সেই টাকার প্রায় অর্ধেক বিভিন্ন খাতে খরচও করে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷কিছুদিন এনিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ আনে জেলা বিজেপি

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য কয়েক দফায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা রুশার পক্ষ থেকে এসেছে৷সেই টাকার প্রায় অর্ধেক বিভিন্ন খাতে খরচও করে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷কিছুদিন এনিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ আনে জেলা বিজেপি৷ তারা এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল, রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের কাছে লিখিত অভিযাগও জানায়৷ এরপরেই নড়েচড়ে বসে সব মহল৷বিদায়ি উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্রের পদত্যাগের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এই অভিযোগের অবতারণা করেন৷ অবশ্য গত ৭ নভেম্বরই রুশার ডেপুটি স্টেট প্রজেক্ট ডিরেক্টর এই অভিযোগের তদন্তের জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেন৷শেষ পর্যন্ত জেলাশাসক সেই তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করলেন৷

এই কমিটিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক আর ভিমলা ছাড়াও আর যে ৪ জনকে রাখা হয়েছে তাঁরা হলেন অতিরিক্ত ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক হিমাদ্রি সরকার৷ সিনিয়র ডেপুটি কালেক্টর সুধাংশু পাইক, ট্রেজারি অফিসার অরুণাংশু কর ও জেলা পূর্ত দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রতকুমার মল্লিক৷এই কমিটি রুশার টাকায় হওয়া বিভিন্ন কাজের মান, ধরণ, পদ্ধতি, কোথাও কোনও আর্থিক অনিয়ম হয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলি তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে৷সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রুশার অর্থে কোনও কাজ করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে৷

প্রতীকী ছবি সৌজন্যে পিক্স অ্যাবে।

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page