আপাতদৃষ্টিতে সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নগামী, তবে এখনই স্বস্তি নয়
পুজোর দিনগুলিতে প্রতিমা দর্শনের ভিড়ে জেলায় সংক্রমণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুজোর মুখেই মালদা মেডিকেল কলেজের করোনা বিভাগে আরও ১০০টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে পুজোর দিনগুলি মালদা শহরের রাস্তায় তেমন ভিড় নজরে আসেনি। পুজোর দিনগুলিতে জেলায় সংক্রমণের সংখ্যাটাও অনেকটাই কমেছে। যদিও এনিয়ে স্বস্তিতে নেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর। লক্ষ্মীপুজোর পরেই জেলায় সংক্রমণের গতি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে, এমনটাই দাবি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের।
পুজোর আগে জেলায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হঠাৎ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ জন করে সংক্রমিত হচ্ছিলেন। পুজোর বাজারে মানুষের উপচে পড়া ভিড়কেই দায়ী করা হয়েছিল। পুজোর আগে সংক্রমণের মাত্রা দেখে জেলায় পুজো নিয়ে উদ্যোক্তাদের সতর্ক করতে ছুটে এসেছিলেন উত্তরবঙ্গের করোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায়৷
[ আরও খবরঃ নদীতে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু দুই বোনের ]
মালদা মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে জেলায় সংক্রমণের সংখ্যা যথাক্রমে ৭৩, ৭৫, ২৮ ও ৫৭৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী জানান, পুজোর চারদিন জেলায় নতুন করে ২৩৩ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন৷ পুজোর দিনগুলিতে বেশিরভাগ মানুষ প্রতিমা দর্শনে বেরোননি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর শহরের রাস্তা যথেষ্ট ফাঁকা ছিল। তবে পুজোর ভিড়ে সংক্রমণের মাত্রা কত, এখনই তা বলা যাবে না। লক্ষ্মীপুজোর পরে এনিয়ে খানিকটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
টপিকঃ #CoronaVirus
留言