রাসায়নিক কীটনাশক নয়। শুধু সাদা জল দিয়ে পাতা ধুয়ে দিলেই বাড়তে পারে সুফল। এই পদ্ধতিতেই জেলার আম চাষিদের চাষ করতে বলছেন আম বিশেষজ্ঞ ড: কমলকৃষ্ণ দাস। কমলকৃষ্ণবাবু পেশায় শিক্ষক। জেলার আম নিয়ে গবেষণা শেষ করে আমচাষীদের দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন তিনি। আজও চাঁচলের কলিগ্রামে আমচাষীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেন তিনি। এদিনের প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ এটিএম রফিকুল হোসেন।
ড: কমলকৃষ্ণ দাস, আম বিশেষজ্ঞ
“নিমপাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল ঠাণ্ডা করে স্প্রে করলে ক্ষতিকারক কীটনাশক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়”
কমলকৃষ্ণ বাবু জানান, কৃত্রিম সার প্রয়োগ করায় জেলার আমগাছগুলির (#MaldaMango) দুর্দশা বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র জল দিয়ে পাতা ধুয়ে দিলেই মিলবে সুফল। শীতের মরশুমে দিনের ধুলো আর রাতের শিশির ও কুয়াশার জল সবুজ পাতার উপরিভাগে একটি পুরু কাদার আস্তরণ গড়ে তোলে। ফলে পাতায় সূর্যের আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পৌঁছয় না। সেই কারণেই মুকুল আসার হার কমে বা মুকুল এলেও ফলগুলি পুষ্ট হওয়ার আগেই ঝরে পড়তে থাকে। তাই শুধুমাত্র জল দিয়ে পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে দিলেই বাড়বে সাথে বাড়বে ফলনের মাত্রা।
কমলকৃষ্ণবাবু আরও জানান, কৃত্রিম সার বর্জন করে বর্ষার পরে পরেই গাছগুলির গোঁড়ায় গোবর ও ধানের খড়ের জলীয় দ্রবণ বেশ কার্যকরী। এছাড়া নিম পাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল ঠাণ্ডা করে স্প্রে করলে বা আলোক ফাঁদ ব্যবহার করলে ক্ষতিকারক কীটনাশক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রতীকী ছবি।
Comments