ঐতিহ্যবাহী সেন পরিবারের পুজোর ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে
top of page

ঐতিহ্যবাহী সেন পরিবারের পুজোর ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে

এবারই কি শেষ হতে চলেছে সেন পরিবারের ঐতিহ্যের? আগামী বছরই কি সেন বাড়ির পুজো সর্বজনীন রূপ পেতে চলেছে? সেন পরিবারের রীতি কী এবারই শেষ দেখা যাবে? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কালিন্দ্রী পাড়ের মানুষদের মধ্যে।


কথিত আছে, বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারে ভারত ভ্রমণে বেরিয়ে নদীপথে মালদায় এসেছিলেন শ্রীচৈতন্য৷ এক রাত বিশ্রাম নিয়েছিলেন রঘুনন্দন সেনের ভিটেয় থাকা কদম গাছের নীচে৷ সেখানেই হয়ে আসছে মালদার অন্যতম প্রাচীন দুর্গাপুজো৷ সেন পরিবারের শরদিন্দু সেন জানান, বর্ধমানের শ্রীখণ্ডে এই পুজো শুরু হয়৷ পরবর্তীতে দেবীর স্বপ্নাদেশে এখানে পুজো নিয়ে আসেন রঘুনন্দন সেন। এই ভিটেতেই পাঁচশো বছরের বেশি সময় আগে রাত কাটিয়েছিলেন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য৷ পরবর্তীতে এখানে শ্রীচৈতন্যের মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ এখানে পুজো আসার আগে বলি প্রথা চালু ছিল। তবে এখানে আসার পর থেকে বলি প্রথা বন্ধ হয়ে যায়। বরকত সাহেবের ঠাকুরদা আরজুমান খান চৌধুরী আমাদের বাড়ির পুজোয় প্রথম অংশ নিয়েছিলেন৷ তাঁর আমল থেকে এখনও পর্যন্ত খান চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা এই পুজোয় অংশ নিয়ে আসছেন৷ তাঁরা মায়ের পুজো দেন, পুষ্পাঞ্জলি দেন৷



সেন পরিবারের আরেক সদস্য রামানন্দ সেন জানান, পরিবারের এক শরিক এখানকার সব সম্পত্তি বিক্রি করে বাইরে চলে গিয়েছে৷ এই পুজোর দায়িত্ব এখন বাকি তিন শরিকের কাঁধে। এদিকে পুজোর খরচ দিনদিন বাড়ছে৷ আগামী বছর থেকে এই পুজো পুরোপুরি সর্বজনীন রূপ পাবে৷ আমাদের রীতি অনুযায়ী সপ্তমীর সকালে পালকিতে চাপিয়ে কলাবউকে কালিন্দ্রী নদীতে স্নান করিয়ে দুর্গা দালানে নিয়ে আসা হয়৷ দশমীতে মাকে মেয়েরূপে বিদায় দেওয়া হয়৷ ঠিক যেভাবে বিয়ের পর মেয়েকে বিদায় দেন বাড়ির লোকেরা৷ তবে আগামী বছর থেকে এসব রীতি কতটা বজায় থাকবে জানা নেই৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page