আটটা থেকে দশটা, বাজিতে বরাদ্দ দু’ঘণ্টা
top of page

আটটা থেকে দশটা, বাজিতে বরাদ্দ দু’ঘণ্টা

দেশের শীর্ষ আদালতের নিদান, মানতে তো হবেই৷ কালীপুজো ও দীপাবলির রাতে বাজি জ্বালানোর টাইম লিমিট বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট৷ কোর্টের স্পষ্ট বার্তা, পরিবেশবান্ধব বাজিই শুধুমাত্র ব্যবহার করা যাবে৷ দূষণের লাগামছাড়া তাণ্ডব রুখতে কোর্টের এই নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি৷ পরিবেশকর্মী তুহিনশুভ্র মণ্ডলের বক্তব্য, ‘আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই৷’

রাত আটটা থেকে দশটা, মাত্র এই দুই ঘণ্টা ছাড় আতশবাজিতে৷ রং মশাল, ফুলঝুরি বা তুবড়ি, রকেট বা চরকি — এই দুই ঘণ্টার আগে বা পরে নৈব নৈব চ৷
This Diwali, you can burst crackers only from 8pm to 10pm for 4 days

আদালতের রায়তে আছেটা কী?

বলা হয়েছে, এবছর কালীপুজো হোক দীপাবলি — মাত্র দু’ঘণ্টাই বাজি পোড়ানো যাবে৷ তাও রাতে৷ আর সে সব বাজিকে অবশ্যই পরিবেশবান্ধব হতে হবে৷ কিন্তু কোনোভাবেই শব্দবাজি ব্যবহার করা যাবে না৷ মানে?

দোদোমা, পটকা, চকোলেট বোমার দাপট থাকবে না কালীপুজোয়৷ এমনকি দেখা যাবে না কালীপটকাও৷ এমনটা হয় নাকি! হ্যাঁ, এবার অন্তত এমনটাই হওয়ার কথা৷ সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মানলে তো এমনটা হতেই হবে৷

আচ্ছা, কেউ যদি টাইম লিমিটের বাইরে বাজি পোড়ান বা নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটান, তাহলে তা রুখবে কে? এই শহরের বাসিন্দা অরূপ ভৌমিকের প্রশ্নটা কিন্তু অমূলক নয়৷ সত্যিই তো, আইন হল বটে৷ তবে তা সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কিনা, নজর রাখবে কে? যে শহরে বিয়ের শোভাযাত্রাতেও নিষিদ্ধ ডিজে’র তাণ্ডব কানে তালা লাগিয়ে দেয়, যেখানে দুর্গাপুজোর নিরঞ্জনে শব্দবাজির উদ্যাম লম্ফঝম্ফ হৃদযন্ত্র বিকল করার উপক্রম করে, সেখানে রাতে মাত্র দু’ঘণ্টা বাজি পোড়ানোর নির্দেশ পালনে নজরদারি চালাবে কে? যদিও ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিপুল মজুমদারের আশ্বাস, পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে৷

বাজি পোড়ানোর বিধিনিষেধকে কেমন চোখে দেখছেন শহরবাসী?

বালুচরের বাসিন্দা সোনা সিং সাদামাটা গৃহবধূ৷ তিনি মনে করছেন, বাচ্চারা তো বাজি পোড়াবেই৷ তবে আইন মেনে বাজি পোড়ানো উচিত৷ সাহাপুরের বাসিন্দা নারান মাঝি টোটো চালান৷ বললেন, বাজি পটকা তো ফাটবেই৷ আইন যতই থাকুক, ফাঁক গলে ওসব ফাটবেই দাদা৷ এত লোককে সামলানোর ক্ষমতা তো পুলিশের নেই৷ মানুষ যদি নিজে সচেতন হয়, তবেই বাজির অবাঞ্ছিত ব্যবহার বন্ধ হবে৷ আর তবেই দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হবে৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

ছবি সৌজন্যে পিক্সঅ্যাবে

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page