খণ্ডন-ভব-বন্ধন, জগ-বন্দন বন্দি তোমায়
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- Oct 2, 2019
- 1 min read
Updated: Aug 12, 2020
হাওড়া জেলায় হুগলী নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রধান কার্যালয়। যে কোনো দিন সন্ধ্যায় বেলুড় মঠে গেলে শুনতে পাবেন এই সংগীত ধ্বনি খণ্ডন-ভব-বন্ধন…। গুরুকে উদ্দেশ্য করে স্বামী বিবেকানন্দের লেখা বিখ্যাত গান। এবছর সেই বেলুড় মঠের এক টুকরো তুলে আনছে মালদার সর্বজয়ী ক্লাব।
তাঁদের এবারের ভাবনা ‘বেলুড় মঠ’। মণ্ডপে থাকছে শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ইতিহাসকে তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাই, ফোম ও থার্মোকল। পুজো প্রাঙ্গণ অর্থাৎ বেলুড় মঠ-সন্নিহিত প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা হয়েছে নানান ফুলের সারি। পরিকল্পনা অনুসারে মণ্ডপে ডাকের সাজের দেবীপ্রতিমা নির্মাণ করছেন মৃৎশিল্পী কৃষ্ণ পাল।
আমাদের ‘পুজো এলো রে’ টিমকে এই পুজো কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব শীল জানালেন, এই বছর আমাদের সর্বজয়ী ক্লাবের দুর্গোৎসব ৪৩ বছরে পা দিতে চলেছে। প্রতি বছরই আনুমানিক বারো থেকে তেরো লক্ষ টাকার বাজেটে পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। রামকৃষ্ণ ভাবান্দোলনের বিশ্বাস অনুসারে বিশ্বধর্মের আদর্শকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, আশা করছি মণ্ডপে এসে দর্শনার্থীরা শান্তি উপভোগ করবেন। পুজোর উদ্বোধন হবে মহাচতুর্থীতে।
চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী তিনদিন এই মণ্ডপে থাকছে নানান সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান। প্রতিবছর পুজোর কদিন মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের জন্য জনসমাগম দেখা যায়, সেজন্য থাকছে বিশেষ নিরাপত্তা। এসেছে নবদ্বীপ থেকে আলোকসজ্জা। সবমিলিয়ে এবছর সর্বজয়ী ক্লাব কতটা চমক নিয়ে আসছে তা দেখতে হলে অবশ্যই আসতে হবে মনস্কামনা কালী মন্দিরের পাশে সর্বজয়ী ক্লাবের দুর্গোৎসব পুজো প্রাঙ্গণে।













Comments