মুকুল রায়ের ভবিষ্যৎ বড়ো শূন্যঃ কৃষ্ণেন্দু
top of page

মুকুল রায়ের ভবিষ্যৎ বড়ো শূন্যঃ কৃষ্ণেন্দু

মালদায় অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়ান মুকুল। তাঁর আশ্বাসে অনশন তুলে নেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২৫ দিনের এই অনশনে দেখা যায়নি শাসকদলের কোনো কর্তাব্যক্তিকে। তবে কী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুকুলের এহেন পদক্ষেপে কি চিন্তিত শাসকদল? বুধবার মুকুলের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরির মন্তব্যে এমনটাই সুর পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।



গতকাল বিকেলে নিজের বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, ২০০৯-১০ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও চিন্তিত। তিনি এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। যদিও বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, তবুও পাহাড় থেকে কলকাতা পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেবেন। বুদ্ধিজীবীদের প্রশ্ন, এই চাকরিপ্রার্থীরা কয়েক বছর ধরেই দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। গত ২৫ দিন ধরে তাঁরা নিজেদের দাবিতে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। যদি মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গেই বিচার করতেন, তাহলে এতদিন এই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কেন কেউ দেখা করতেও গেলেন না? এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কেন কাউকে অনশন মঞ্চে পাঠানো হল না?

সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে একহাত নেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুল বুঝিয়ে এই জেলায় দলের গোষ্ঠীকোন্দলের বীজ পুঁতেছিলেন মুকুল রায়। যতদিন তিনি দলে ছিলেন, দলটাকে শতচ্ছিদ্র করে দিয়ে গিয়েছেন। গত পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে তিনি সিপিএম, কংগ্রেস আর বিজেপিকে সবসময় পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন। এখনও তিনি গোষ্ঠীকোন্দল লাগানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাঁর কিছু লোক এখনও দলে রয়েছে। অবশ্য তাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, মুকুল রায় বিজেপিতে যাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত যে ক'টি নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিটিতেই গোহারা হেরেছে গেরুয়া শিবির।সাংবাদিক বৈঠকে মুকুলের আর্থিক অবস্থা নিয়েও একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। তিনি আরো জানান, মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ একটি বড়ো শূন্য।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page