top of page

শহর সৌন্দর্যায়নের একাধিক প্রস্তাব নাগরিক সভায়

শহর সৌন্দর্যায়নের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল নাগরিক সভার। পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলরের উদ্যোগে মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামের সানাউল্লাহ মঞ্চে নাগরিক সভায় যোগ দিয়েছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, মহকুমাশাসক (সদর) সুরেশচন্দ্র রানো সহ সমাজের বিভিন্নস্তরের নাগরিকরা। সেই সভাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মালদা শহরকে আরও সুন্দর করে গড়ে তুলতে দ্রুত বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ি কাউন্সিলর তথা পুর প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য আশিস কুণ্ডু নাগরিক সভা ডেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সৌন্দর্যায়নের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই সভাতেই প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন নাগরিকরা। নাগরিক সভায় শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদার প্রস্তাব দেন, শহরের সৌন্দর্যায়নে জাতীয় সড়কের পাশাপাশি সংযোগকারী রাস্তাগুলিতেও নজরদারির প্রয়োজন। যানজট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভাবা উচিত। শহরের বেশিরভাগ রাস্তার অর্ধেক দখল হয়ে যাওয়ায় যানজট বাড়ছে শহরে। সভায় বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সম্পাদক সুনীল দাস দীপশ্রীদেবীর বক্তব্যকে সমর্থন করার সঙ্গে আরও একাধিক প্রস্তাব দেন।


Organizing-civic-meetings-to-make-town-beautiful
এই সভাতে প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন নাগরিকরা

আশিসবাবু জানান, মহানন্দা ব্রিজ থেকে রবীন্দ্রভবন পর্যন্ত জাতীয় সড়ক এখন যন্ত্রণার সড়কে পরিণত হয়েছে। এথেকে মুক্তি পেতে আমরা অনেকবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি, আন্দোলন করেছি। আমরা চাই, এই সড়কের দুই ধারে এবং মাঝখানে বুলেভার্ড করে গাছ লাগানো হোক। আলোয় মুড়ে ফেলা হোক এই সড়ক। জাতীয় সড়ক দখল করে থাকা ব্যবসা এবং বেআইনি পার্কিং তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।




জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানান, এই সভায় একাধিক প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে এখন কাজ চলছে। এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। এই সমস্যা পুরোপুরি বন্ধ করতে আরও একটি প্রকল্প বছর খানেকের মধ্যে করে ফেলা হবে। শহরের আবর্জনা সাফাইয়ের জন্য মহদীপুর এলাকায় একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড দ্রুত চালু করা হবে। জাতীয় সড়কের দখলদারি উচ্ছেদ করে রাস্তা আলোকিত করার প্রস্তাবও উঠে এসেছে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

تعليقات


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page