মানিকচক কলেজে মেধাতালিকার শীর্ষস্থানে নেহা কক্কর
top of page

মানিকচক কলেজে মেধাতালিকার শীর্ষস্থানে নেহা কক্কর

কলকাতার আশুতোষ কলেজের মেধাতালিকায় নাম উঠেছিল সানি লিয়নের৷ বারাসত ডিগ্রি কলেজের তালিকায় সানি লিয়নের সঙ্গে মিয়া খলিফা সহ একাধিক পর্ন তারকার নাম পাওয়া গিয়েছিল৷ এনিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গোটা রাজ্যে৷ এবার মালদার মানিকচক কলেজের মেধাতালিকায় নাম পাওয়া গেল বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী নেহা কক্করের৷ এনিয়ে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ একের পর এক কলেজের মেধাতালিকায় কীভাবে এমন সব নাম উঠে আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষামহলে৷ এর পিছনে করোনা আবহে রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকাই দায়ী বলে মনে করছে শিক্ষামহলের একাংশ৷



এর আগে কলকাতার আশুতোষ কলেজের ইংরেজি বিভাগের মেধাতালিকায় নাম দেখা গিয়েছিল পর্ন তারকা সানি লিয়নের৷ এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে৷ তার মধ্যেই সানি লিয়ন, মিয়া খলিফা সহ একাধিক পর্ন তারকার নাম পাওয়া যায় বারাসত ডিগ্রি কলেজের মেধাতালিকায়৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই এসব তারকার নাম তালিকার শীর্ষে ছিল৷ গত ২৬ অগাস্ট প্রকাশিত মানিকচক কলেজের মেধাতালিকায় নাম পাওয়া যায় নেহা কক্করের৷ প্রখ্যাত এই সঙ্গীত শিল্পীর নাম তিনটি তালিকায় পাওয়া যায়৷ সাধারণ শ্রেণির তালিকায় প্রথমেই রয়েছে তাঁর নাম৷ ইংরেজি ও শিক্ষাবিজ্ঞানের তালিকায় অবশ্য তাঁর নাম অনেক নীচে রয়েছে৷

মানিকচক কলেজের অধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত ২৮ অগাস্ট বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে৷ দেখা যায়, সাধারণ শ্রেণিতে নেহা কক্করের নাম একেবারে প্রথমে রয়েছে৷ সেখানে দেখানো হয়েছে, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬০০৷ উচ্চমাধ্যমিকে ১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার কথা নয় কারোর৷ এতেই তাঁদের সন্দেহ হয়৷

তাঁরা দেখতে পান, আরও দুটি বিষয়ের তালিকায় নেহা কক্করের নাম রয়েছে৷ এই মেধাতালিকা তৈরির দায়িত্বে রয়েছে কলকাতার একটি সংস্থা৷ তাঁরা সেই সংস্থার কাছে বিষয়টি জানতে চান৷ তারা জানায়, নেহা কক্করের নামেই কলেজে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল৷ এবার আবেদনপত্র অনলাইনে গ্রহণ করা হয়েছে৷ ফলে কোন আইপি অ্যাড্রেস থেকে এই আবেদন করা হয়েছিল, সেটাও জানা গিয়েছে৷ তাঁরা গোটা ঘটনা নিয়ে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ সেখানে তাঁরা কলকাতার সংস্থা থেকে পাওয়া সমস্ত তথ্যও জমা দিয়েছেন৷ একই কথা জানিয়েছেন কলেজের প্রশাসক, সদর মহকুমাশাসক সুরেশচন্দ্র রানো৷



এদিকে শিক্ষা মহলের একাংশের ধারণা, করোনা আবহে এবার রাজ্য শিক্ষা দফতর অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে৷ আবেদনের জন্য কোনও ফি এবার নেওয়া হচ্ছে না৷ কোনও নথিপত্রও জমা নেওয়া হচ্ছে না৷ মেধাতালিকায় নাম ওঠার পর ক্রম অনুযায়ী ভরতির সময় সমস্ত নথিপত্র জমা নেওয়া হবে৷ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই কেউ বা কারা বিভিন্ন তারকাদের নামে আবেদনপত্র দাখিল করছে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কালিমালিপ্ত করতেই এসব করা হচ্ছে বলে বক্তব্য এই মহলের৷


মালদা জেলার টাটকা নিউজ এখন আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে। বিনামূল্যে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page