চাকরির টোপে প্রতারণার অভিযোগ জেলাপরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে
top of page

চাকরির টোপে প্রতারণার অভিযোগ জেলাপরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে

চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তিনি জেলাপরিষদের সদস্যও। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে উলটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করারও অভিযোগ উঠেছে ওই নেতা ও তার এক ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়ার ভাদো এলাকায়। টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলাপরিষদ সদস্য।



অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুলে, গ্রামপঞ্চায়েতে ও আশাকর্মীর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দু’বছর আগে জেলাপরিষদ সদস্য হুমায়ুন কবীর এলাকার বেশ কিছু প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা টাকা নেন। তিনি মোট ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলেও পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই চাকরি প্রার্থীরা সকলেই দলেরই কর্মী। কেউ সরাসরি, কেউ দলেরই কোনো কর্মীর মাধ্যমে হুমায়ুনকে টাকা দেন। কিন্তু তাদের চাকরি না হওয়ায় তারা টাকা ফেরত চান। তিনমাস ধরে তিনি প্রার্থীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ঘোরাচ্ছিলেন। এদিন তার বাড়িতে যান জুবাইর আহমেদ নামে দলেরই এক কর্মী।


জুবাইরের অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই বিশ্বাস করে দু’জন আশাকর্মীর জন্য হুমায়ুনের হাতে চার লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি আবদুল আলিম নামে একজনের প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। উনি টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। এদিন টাকা ফেরত ও বন্ধু আলিমের মার্কশিট আনতে হুমায়ুনের বাড়িতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর হাত কেটে যায়। ওর এক ছেলে বন্দুক দিয়ে আমাদের ভয় দেখায়। লোকজন ছুটে আসায় কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা।


যদিও চাকরির নামে টাকা নেওয়া ও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর পালটা অভিযোগ, তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করতে দলেরই একাংশ সিপিএম, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আগেও হামলার চেষ্টা করেছে। এদিন আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর উপর হামলার চেষ্টা করে। এঘটনা পুলিশে জানানো হয়েছে।




চাঁচলের এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনমাফিক পদক্ষেপ করা হবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page