সূচিশিল্পে রাজ্য জয়ের পর দিল্লি জয়ের উড়ানে পাখি
জেলার পর রাজ্য জয়। দেশবাসীর মনে দাগ কাটার লক্ষ্যে এবার দিল্লির উদ্দেশ্যে উড়ান পাখির। পাখির সাফল্যের জন্য কামনা করছেন প্রশিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকরাও।
পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাবনা পাড়ার বাসিন্দা পাখি হালদার (৩৫)। বাবা নারায়ণ হালদারের মৃত্যুর পর এখন সংসারে মা আর ছোটো ভাই। অভাবের সংসারের হাল ধরতে শহরের একটি বিউটি পার্লারে কাজ শুরু করেন পাখি। পরে নিজের পার্লার উদ্দেশ্যে কৃষ্ণকালীতলা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিতে যান। সেখানে সূচিশিল্পের কাজ দেখে শেখার আগ্রহ জন্মায়। সেখানে সূচিশিল্পের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন তিনি। প্রশিক্ষণ শেষে জেলা শিল্পকেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত হয় তাঁর৷
সম্প্রতি মালদা জেলা শিল্পকেন্দ্রে হস্তশিল্পের প্রদর্শনী এবং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে পাখির সূচিশিল্পে সেজে ওঠা একটি ওড়না জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে। সুযোগ মেলে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার। কলকাতার ইকো পার্কে আয়োজিত রাজ্যস্তরের হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতাতেও তাঁর ওড়না প্রথম অধিকার করে৷ এবার পাখির উড়ান দিল্লির উদ্দেশ্যে। জাতীয় হস্তশিল্প ও প্রদর্শনী প্রতিযোগিতায় দেশবাসীর মনে দাগ কাটায় এখন পাখির লক্ষ্য।
তিনি জানান, মালদার প্রতিযোগিতায় কাঁথা স্টিচের একটি ওড়না বানিয়েছিলাম৷ সেই ওড়না প্রথমে জেলা ও পরে রাজ্যস্তরের হস্তশিল্প প্রতিযোগিতাতে প্রথম স্থান অধিকার করে৷ এবার ওই ওড়না নিয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া৷ দিল্লিতেও যদি এই শিল্প কোনো স্থান পায় তবে কতটা আনন্দিত হব নিজেও বলতে পারব না। এখন থেকে আগামী বছরের প্রতিযোগিতার জন্য নকশা তৈরির কাজ শুরু করেছি৷
জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মানবেন্দ্র মণ্ডল জানান,
এবছর জেলা থেকে তিনজন প্রতিযোগী রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে পাখি হালদার প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন৷ বাকি দু’জনও বিশেষ পুরস্কার লাভ করেছেন৷ এবার পাখি হালদার জাতীয় স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন৷ সকলেই তাঁর সাফল্য কামনা করছেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments