অনাবৃষ্টিতে হাঁসফাঁস, স্বস্তি ডেঙ্গির গ্রাফে
একদিকে অনাবৃষ্টিতে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। অন্যদিকে, এই অনাবৃষ্টিই যেন ডেঙ্গির লাগাম কষে মালদাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। গত বছরের তুলনায় এবছর মালদা জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি না হলেও সতর্ক রয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রতি বুধবার জেলা জুড়ে পালন করা হচ্ছে ড্রাই ডে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর এখনও পর্যন্ত মালদা জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ জন। বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজে একজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ভরতি রয়েছেন। গত বছর এই সময় মালদা শহরে ডেঙ্গি ভালো প্রভাব বিস্তার করেছিল। তা মাথায় রেখেই কাজ করে চলেছে পুরসভা ও প্রশাসন। পুরসভার তরফে প্রতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোথাও জমা জল রয়েছে কিনা সেই সার্ভে করা হচ্ছে।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ী জানান,
গত বছরের তুলনায় এবছর মালদা জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। কিছুদিন আগে হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীতে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা যাওয়ায় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পতঙ্গবিদরা ওই এলাকায় গ্রামবাসী, পঞ্চায়েত সদস্য সহ সবাইকে সচেতন করেছেন৷ মূলত এই সময়েই ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। তবে সেভাবে বর্ষা না হওয়ায় মালদা জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সপ্তাহে ১-২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। জেলাশাসক পুরো বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন।
মালদা মেডিকেল সুপার পুরঞ্জয় সাহা জানান,
জ্বর নিয়ে কোনও রোগী ভরতি হলেই তাঁর ডেঙ্গির পরীক্ষা করা হয়। এই মুহূর্তে মাত্র একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। গত বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গির আক্রমণ অনেক কম৷ হাসপাতাল চত্বরে কোথাও যেন জল না জমে সেদিকে আমরা নজর রাখছি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments