অবশেষে পাতালচণ্ডী মন্দির সংলগ্ন রাস্তার শিলান্যাস হল। সোমবার কাটাগড় সংলগ্ন ৩৪ নং জাতীয় সড়ক থেকে মন্দির পৌঁছোনোর রাস্তার কাজের শিলান্যাস করলেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজারের বিডিও সৌগত চৌধুরি। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
পাতালচণ্ডী ও দুয়ারবাসিনীতে পাকা রাস্তা না থাকায় ভক্তদের মন্দিরে যাতায়াতে সমস্যা হয়
ইংরেজবাজার ব্লকের মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত পাতালচণ্ডী মন্দির। প্রতিবছর এই মন্দিরে বাসন্তীপুজো হয়। বৈশাখ মাস জুড়ে চলে চণ্ডীর আরাধনা। সেন আমলে বাংলার রাজধানী গৌড়ের (#Gour) প্রবেশমুখে মাটির নীচ থেকে দেবীমূর্তি উদ্ধার হওয়ায় দেবীর নাম হয়েছিল পাতালচণ্ডী। গৌড়ের আরও তিনটি প্রবেশদ্বার থেকেও দেবীমূর্তি উদ্ধার হয়। সেই তিন দেবী জহুরাচণ্ডী, মাধাইচণ্ডী ও দুয়ারবাসিনী নামে পূজিত হন। দেবীমূর্তি উদ্ধারের স্থানগুলিতে নির্মাণ করা হয় মন্দির। প্রাচীন সেন রাজবংশের কুলদেবী ছিলেন চণ্ডী। কথিত আছে সেন বংশের রাজা লক্ষণ সেন গৌড়ের চারিপাশে চণ্ডী মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। গৌড়ের দক্ষিণ দিকের মন্দিরটি হল পাতালচণ্ডীর। ভক্তরা এই মন্দিরগুলিতে পুজো দিতে আসেন। তবে পাতালচণ্ডী ও দুয়ারবাসিনীতে পাকা রাস্তা না থাকায় ভক্তদের মন্দিরে যাতায়াতে সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বাসিন্দারা পাকা রাস্তার দাবি তুলেছিলেন। অবশেষে গতকাল ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহারঞ্জন ঘোষ পাতালচণ্ডী মন্দির থেকে ৬৫০ মিটার রাস্তার শিলান্যাস করেন।
প্রয়োজনে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করার কথাও জানান বিধায়ক
নীহারবাবু জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেদনের পর থেকেই রাস্তা নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তিনি। আপাতত ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬৫০ মিটার রাস্তা তৈরি হবে। বাকি রাস্তা ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে করে দেওয়ার জন্য বিডিওকে অনুরোধ করা হয়েছে। এবিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করার কথাও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রয়োজনে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করার কথাও জানান বিধায়ক।
বিডিও সৌগত চৌধুরি জানান, বিধায়কের আবেদনে বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৬১৮ মিটার রাস্তা তৈরির অনুমোদন এসেছে। এই কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। বিধায়ক নিজের উন্নয়ন তহবিল থেকে ৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছেন। প্রথম পর্যায়ে ১,৩০০ মিটারের মধ্যে ৭১৮ মিটার রাস্তা তৈরি হবে। বাকি রাস্তা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আশা প্রকাশ করেন বিডিও।
Comments