ঘোড়াপীর এবার চাঁদের পাহাড়ের খোঁজে
হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন। আর তারপরেই তো প্যান্ডেল হুপিং, আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, বেড়াতে যাওয়া আর সঙ্গে প্রিয় লেখকদের উপন্যাস, গল্পের বই পড়া। আর এই রকমই এক প্রিয় লেখকের গল্পকেই মণ্ডপসজ্জার থিম হিসেবে তুলে ধরতে প্রস্তুত ঘোড়াপীর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
এবারের পুজোয় সমাজে অরণ্যের গুরুত্বকে তুলে ধরতে এই ক্লাব মালদাবাসীকে উপহার দিতে চলেছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত চাঁদের পাহাড়। এবছর একুশে পা দিতে চলেছে এই পুজো কমিটি। মূলত চাঁদের পাহাড় গল্পে উল্লিখিত কেনিয়ার মাসাইমারা উপজাতির জীবনযাত্রার কাহিনিটি তুলে ধরা হচ্ছে মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে।
অরণ্য আমাদের সম্পদ। কিন্তু এই অরণ্য ধ্বংসের নেশায় মেতে উঠেছে গোটা বিশ্ব। তাই এই ধ্বংসের লীলাখেলা থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করায় হল এই পুজো কমিটির মূল লক্ষ্য।
পুজো কমিটির সভাপতি সুব্রত সোম আমাদের জানান, আফ্রিকার মাসাইমারা উপজাতি কিংবা ভারতের কোল-ভিল-মুণ্ডা’রা এখনও অরণ্যকে দেবতা হিসেবে পুজো করে। তাই তাদের জীবনযাত্রাকে তুলে ধরার মাধ্যমে মানুষকে অরণ্যের প্রাসঙ্গিকতা বোঝানোর চেষ্টা করছি আমরা।
পুজোর থিমটি মাথায় রেখে নারিকেল গাছের ছাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। মণ্ডপের প্রতিমা থাকছে অরণ্য দেবতা শাকম্ভরীর রূপে। সবমিলিয়ে আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকার বাজেটে জেলার অন্যান্য পুজো কমিটিকে টেক্কা দিতে যুদ্ধে প্রস্তুত ঘোড়াপীর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments