ভাইরাসে আক্রান্ত লিচু
top of page

ভাইরাসে আক্রান্ত লিচু

জেলার কালিয়াচকে বিভিন্ন গ্রামে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লিচু চাষ করা হয়। গ্রীষ্মকালে মালদা জেলার অন্যতম এক মৌসুমি ফল হল লিচু। আমরা প্রত্যেকেই লিচু কমবেশি ভালোবাসি। কিন্তু সাবধান, এই লিচু কিন্তু আপনার মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে। সম্প্রতি এক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলাফলে এই সতর্কবার্তা জানানো হয়েছে।


অ্যাকিউট এন্‌কেফেলাইটিস সিনড্রোম (এইএস) নামের একধরনের ভাইরাস

এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে, ২০১৪ সালের ৯ জুন লিচু খেয়ে কালিয়াচক এলাকার ১৩ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাদের মৃত্যু ঘটে। ঘটনার পরে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন যে, শিশুরা কাঁচা লিচু খেয়েছিল। এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। ঘটনার পরে দি স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মেহবুব রহমান ও ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. ভাস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। নমুনাগুলি পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়।

শিশুদের মৃত্যুর কারণ ছিল অ্যাকিউট এন্‌কেফেলাইটিস সিনড্রোম (এইএস) নামের একধরনের ভাইরাস যা লিচুর মাধ্যমে মৃত শিশুদের শরীরে প্রবেশ করেছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ওঠে, চরম কাঁপুনির সঙ্গে উচ্চ জ্বর, বমিভাব দেখা যায়। তার সঙ্গে থাকে প্রবল খিঁচুনিভাব যার ফলে মস্তিষ্ক প্রভাবিত হয় এবং পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটায়।


অবশেষে পরীক্ষার পরে বিশেষজ্ঞদের মতামত যে,

সতর্কতা হিসাবে বলা হয়েছে যে, বাগান থেকে সরাসরি লিচু পেড়ে না খেয়ে তা কিছু সময়ের জন্য জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া লিচুর খোসা ছাড়ানোর পরে লিচুগুলিকে পুনরায় জলে ধুয়ে নিতে হবে। তারপরেই তা খাওয়া উচিত।

বিশেষজ্ঞদের মত, যে এইএস ভাইরাসটি হাইপোগ্লাইসিমিয়া, যা মিথালেনেসাইক্লোপ্রোপিল নামে একটি বিষাক্ত পদার্থ যা হাইপো- গ্লিসাইনের অনুরূপ। লিচুতে এই পদার্থ পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা অবাক হয়েছেন যে, শিশুরা মূলত লিচুতে ব্যবহৃত রং ও কীটনাশক থেকে আক্রান্ত হয়েছে। এই শিশুদের বয়স তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। বাজারে বিক্রিত লিচুর প্রায় ৪০ শতাংশ এইএস ভাইরাসে আক্রান্ত।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page