top of page

একে করোনা দোসর বৃষ্টি, লাটে উঠেছে মাছ শিল্প

দীর্ঘ লকডাউনের পর গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালদার শুঁটকি মাছের ব্যবসা। এই পরিস্থিতিতে কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা।


Dried fish business is being affected by continuous rains
সাট্টারি-বিনোদপুর অঞ্চলের দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিক শুঁটকি মাছের ব্যবসায় জড়িত

মালদা জেলার ইংরেজবাজারের সাট্টারি-বিনোদপুর অঞ্চলের দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিক শুঁটকি মাছের ব্যবসায় জড়িত। ভিন রাজ্য থেকে মাছ আনা শুকোনো ও প্যাকেজের কাজে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। শুঁটকি মাছের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা মূলত দিঘা থেকে মাছ নিয়ে আসে। এখানে মাছ ধোয়া থেকে শুরু করে বাঁশের মাচা করে সেই মাছ রোদে শুকোতে হয়। তারপরে সেই মাছ প্যাকেটজাত করে চলে যায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায়। দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার বিনিময়ে ওই এলাকার বহু মহিলারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।



এই শিল্পের মহিলা শ্রমিক চিত্রা সরকার, সীমা মণ্ডল, রেখা মণ্ডলরা জানান, গত ছ'মাস ধরে লকডাউনের কারণে এই ব্যবসা বন্ধ ছিল। কয়েকদিন আগে ফের কাজ শুরু হলেও পুনরায় তা বন্ধের মুখে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মাছ শুকোনোর কাজ করা যাচ্ছে না। কাঁচামাছ বেশি দিন রাখা যায় না। ফলে এরকম চলতে থাকলে ফের ব্যবসা বন্ধ হবে।




শুঁটকি মাছের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থার কর্ণধার উৎপল চৌধুরি জানান, লকডাউনের ফলে রাস্তায় গাড়ি আটকে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট হয়েছে। এলাকার হাজার হাজার মহিলা শ্রমিকদের কথা ভেবে আবার ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে যদি মাছ পচে যায় তাহলে আর ব্যবসা করা যাবে না। ক্ষতি হলে শ্রমিকদের মজুরিও দিতে পারব না।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page