বন্যাত্রাণ দুর্নীতির তদন্তের মালদায় সিএজি-র প্রতিনিধি দল
top of page

বন্যাত্রাণ দুর্নীতির তদন্তের মালদায় সিএজি-র প্রতিনিধি দল

হাইকোর্টের নির্দেশে হরিশ্চন্দ্রপুরে বন্যা ত্রাণ দুর্নীতির তদন্তে এলেন সিএজি-র (CAG) আধিকারিকরা। এই মুহূর্তে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকে সিএজির একটি টিম তদন্ত চালাচ্ছে। সিএজির তদন্তকারী দল হরিশ্চন্দ্রপুরে পৌঁছতেই নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জেলা জুড়ে। তবে কি, নিয়োগ দুর্নীতির মতো বন্যা ত্রাণ দুর্নীতিতেও সামনে আসবে একাধিক নাম? আপাতত এই প্রশ্ন ঘুরছে জেলাবাসীর মনে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বন্যায় মালদার ১০২টি অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিএজিকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আজ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকে বন্যা ত্রাণ দুর্নীতির তদন্তে আসেন সিএজির আধিকারিকরা। খবর লেখা পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন আধিকারিকরা।


হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার প্রাক্তন কংগ্রেসি বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা লড়াই করেছি, অবশেষে আমাদের লড়াই সার্থক হওয়ার পথে। তৃণমূলের প্রশাসন, পঞ্চায়েত সবাই এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। প্রকৃত দুর্গতরা সরকারি অনুদান পান, এটাই আমাদের লড়াইয়ের উদ্দেশ্য।


সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বাম নেতা জামিল ফেরদৌস বলেন, প্রকৃত দুর্গতদের নাম ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের প্রভাবশালীদের। আমরা এই দুর্নীতির নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি।


বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় এনিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে দলের কেউ এই দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে।


CAG-delegation-to-Malda-to-probe-flood-relief-corruption

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page