বর্ষার আগেই ভাঙন ফুলহরে, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের
top of page

বর্ষার আগেই ভাঙন ফুলহরে, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের

এখন জেলায় বর্ষার সেভাবে দেখা মেলেনি। তার আগেই মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দাদের। ফুলহরের জলস্তর বিপদসীমা থেকে এক মিটার নিচে থাকলেও ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে। নদী থেকে জনবসতি এলাকা মাত্র ৫০ মিটার দূরে রয়েছে। যে হারে ফুলহরের জলস্তর ও ভাঙন বাড়ছে তাতে যে কোনো সময় গ্রাম নদীগর্ভে চলে যেতে পারে, সেই আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জেলা প্রশাসন।


হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের উত্তর ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ভাকুরিয়া, কাউয়াডোল, রশিদপুর, মিরপাড়া ও তাঁতিপাড়ার মানুষের চোখে মুখে এখন আতঙ্কের ছবি। বহু মানুষ আতঙ্কে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মেহেরাফসার বিবি জানান, পাড় কাটতে শুরু করেছে৷ আতঙ্কে তিনদিন আগে ঘর ছেড়ে দিয়েছি। কোথায় থাকব তা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না। প্রশাসনের কাছে আবেদন, আমাদের কিছু ব্যবস্থা করা হোক। আরেক বাসিন্দা শেখ আলম জানান, ফুলহরের জলস্তর বৃদ্ধির পাশাপাশি ভাঙন শুরু হয়েছে। রশিদপুর আর দক্ষিণ ভাকুরিয়ায় সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভয়ে এলাকার কেই ঘুমোতে পারছেন না। বাড়ির জিনিসপত্র গুছোতে শুরু করেছি। পরিস্থিতি খারাপ হলে বাড়ি ছাড়তে হবে।


হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি জানান, সমস্ত দিকে উপর নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্লক তৈরি আছে৷


প্রতীকী ছবি।

মন্ত্রী তজমূল হোসেন জানান,

আজ তিনি এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। বেশ কিছু এলাকায় পরিস্থিতি সত্যিই বিপজ্জনক৷ বিষয়টি নিয়ে তিনি বিডিও এবং জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page