top of page

হরিণ পুষছেন বিডিও, ভিড় বাড়ছে ব্লক অফিসে

এক সাথে ২৫টি হরিণ পুষছেন বিডিও। সঙ্গে আবার অস্ট্রিচ, কালো মুরগী সহ আরও বেশ কিছু দোসর। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লক অফিসে ছোটো জঙ্গল বানিয়ে মৃগোদ্যান চালাচ্ছেন বিডিও। ব্লক দফতরের এই উদ্যোগ শুনে রীতিমতে চমকে গিয়েছেন নবান্নের আমলারাও।


হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লক অফিসের মধ্যেই বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে জঙ্গল। মাঝখানে বিশাল পুকুর। সেখানে আবার বোটিংয়ের ব্যবস্থা। এই মৃগোদ্যানকে তৈরি করতে বা রক্ষণাবেক্ষণের পুরো খরচ বহন করছে স্থানীয় বাসিন্দারা, পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসন। রাজ্য সরকারের কাছে এই মৃগোদ্যান চালানোর জন্যে আলাদা করে কোনও অর্থ চাওয়া হয়নি। বন দফতরের কর্মী বা আধিকারিকরা মাঝে মধ্যে মৃগোদ্যান দেখে যান, দেন পরামর্শ। এই মৃগোদ্যানে কাজ করেন বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মী। তাঁদের বেতন পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের নিজস্ব ফান্ড থেকেই দেওয়া হয়।



ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, তৎকালীন বিডিও অশোক কুমার মোদক ছয়টি হরিণ নিয়ে এই মৃগোদ্যান শুরু করেন। তাঁকে সাহায্য করেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বারদুয়ারি গ্রামেরই কিছু ব্যবসায়ী। আজ সেই হরিণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬। ধীরে ধীরে ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে এই মৃগোদ্যান। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এই উদ্যানে ঘুরতে আসছেন। ব্যবস্থা করা হয়েছে টিকিটের। তৈরি করা হয়েছে গেস্ট হাউসও। ধীরে ধীরে পর্যটনের জন্যে বৃহৎ পরিকল্পনাও নিতে চলেছে পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন। বিশেষ করে করোনা আবহে, শীতের মরশুমে মানুষ খুব বেশি দূরে না গিয়ে একান্তে এই গ্রামের মাঝখানে ছোটখাটো জঙ্গল উপভোগ করতে পারবেন।


[ আরও খবরঃ ভরদুপুরে শিয়ালের আক্রমণে জখম বৃদ্ধা ও শিশু ]



আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page