শুধু লাইব্রেরিয়ান, তবুও জেলা সেরার শিরোপা
মালদা জেলার শহর লাইব্রেরিগুলির মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল পুরাতন মালদার বাণী ভবন লাইব্রেরি। শনিবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলার সেরা পাঠকও নির্বাচিত হয়েছে ওই লাইব্রেরির পাঠক সৌম্যদীপ বসাক।

১৯৭৫ সালে তৎকালীন রাজ্যের সেচমন্ত্রী বরকত গণি খান চৌধুরির উদ্যোগে বাণীভবন লাইব্রেরি সরকারি মান্যতা পায়। জেলার সবচেয়ে উন্নত পরিকাঠামো যুক্ত লাইব্রেরির শিরোপা বাণীভবনের দখলে। এই লাইব্রেরিতে ১৪ হাজার ৪৮৫টি বই রয়েছে। লাইব্রেরির বর্তমান পাঠকের সংখ্যা ১,২৬৭ জন। মালদা ও উত্তরবঙ্গের ইতিহাস জানতে এই লাইব্রেরির সাহায্য নিয়েছেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা গবেষকরা। মালদা বিষয়ক ও মালদার লেখক-লেখিকাদের বুক কর্নারও রয়েছে এই লাইব্রেরিতে।
লাইব্রেরিয়ান সুবীর সাহা জানান, লাইব্রেরিতে শুধু পাঠকদের জন্য বই পড়ার সুবিধে নয়। প্রতি সোম ও শুক্রবার বিনামূল্যে স্পোকেন ইংরেজি শেখানো হয়। ডাক বিভাগের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নিজের উদ্যোগে ছেলেমেয়েদের ইংরেজিতে কথা বলা শেখান। নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার বিনামূল্যে সমস্ত বিষয়ের কোচিংও দেওয়া হয় এই লাইব্রেরিতে।
শহর লাইব্রেরিগুলির মধ্যে সেরার শিরোপা পেলেও কর্মী সংকটে ভুগছে বাণী ভবন লাইব্রেরি। শুধুমাত্র লাইব্রেরিয়ান সুবীর সাহা ছাড়া আর কোনো কর্মী নেই। একা হাতে লাইব্রেরিতে এই জায়গায় নিয়ে আসার জন্য বড়ো অবদান রয়েছে তাঁর। লাইব্রেরির কর্মীর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও করেছেন তিনি। শীঘ্রই সেই সংকটও মিটে যাবে বলে আশাবাদী সুবীরবাবু।
বাণী ভবন লাইব্রেরির এই সাফল্যে খুশি পাঠক থেকে সমস্ত এলাকাবাসী। সকলের আশা আগামীতে বাণী ভবন লাইব্রেরি আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
প্রতিদিন মালদার টাটকা নিউজ হোয়াটস্ অ্যাপে পেতে ক্লিক করুন
Comments