বস্তা ভরতি এটিএম কার্ড উদ্ধার, রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন স্থানীয়রা
পুকুর থেকে উদ্ধার হল ব্যাগ ভরতি এটিএম কার্ড। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রতুয়া-২ ব্লকের মহারাজপুর এলাকায়। কে বা কারা, কেন বস্তা ভরতি এটিএম কার্ড ফেলে গেলে তা নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। যদিও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি, উদ্ধার হওয়া সমস্ত এটিএম কার্ডগুলি বাতিল। ফলে এই ঘটনার সঙ্গে টাকা হেরফেরের কোনো সম্পর্ক নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে খেলতে গিয়ে কাবাতুল্লা হাইস্কুলের পেছনে পুকুরে ধারে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাচ্চারা। দেখা যায় বস্তা ভরতি এটিএম কার্ড। আইসক্রিম খাওয়ার লোভে ওই বাচ্চারা কিছু কার্ড খেলার জন্য রেখে বাকি কার্ড লক্কড়ে বিক্রি করে দেয়। নিমেষে এই খবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
নুর মোহম্মদ নামে এক কিশোর জানায়, হাইস্কুলের পেছনে পুকুরের ধারে বস্তাটা পড়ে ছিল৷ বস্তাটা আমরা নিয়ে চলে আসি৷ দেখি এটিএম কার্ড। সবাই বলল, ওই কার্ড কাজে লাগবে না৷ তাই বেশিরভাগ কার্ড বিক্রি করে দিয়েছি৷
স্থানীয় এক বাসিন্দা রমজান আলি জানান,
একটি কার্ড আমার হাতে এসেছে। কার্ডগুলি বঙ্গীয় বিকাশ গ্রামীণ ব্যাংকের। যেখান থেকে কার্ডগুলি উদ্ধার হয়েছে, তার কিছু দূরেই ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে। উদ্ধার হওয়া কার্ডে ইশ্যুর সাল উল্লেখ রয়েছে ২০১৪। ২০২৪ সাল পর্যন্ত সেই কার্ড বৈধ সেটাও কার্ডে লেখা রয়েছে। এই কার্ড যদি বাতিল হয়, তবে কার্ডগুলি কেন খাম থেকে খোলা হয়েছে। কারণ, কার্ডের সঙ্গে পিনকোড খামের মধ্যে বন্দি থাকে। কার্ডে গ্রাহকের নামও রয়েছে। তবে কেন উপভোক্তাদের কার্ড বিলি করে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে নিশ্চয় কোনো দুর্নীতির যোগ রয়েছে।
ব্যাংকের স্থানীয় শাখার ম্যানেজার শমিত পাল জানান, এই ব্যাংকের তরফে দীর্ঘদিন ধরেই এটিএম কার্ড ইস্যু করা বন্ধ রয়েছে৷ তাই যদি এটিএম কার্ড পাওয়া গিয়েও থাকে, সেসব কার্যকরী নয়৷ সম্ভবত রিজেক্টেড কার্ডগুলি এক জায়গায় রেখে দেওয়া হয়েছিল৷ কীভাবে সেগুলি বেরিয়ে গিয়েছে তা জানা নেই।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
留言