স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিসেবা না পেয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন যুবকের
top of page

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিসেবা না পেয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন যুবকের

স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে পরিসেবা না পেয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনে ব্লক অফিসে ধরনায় যুবক। বিষয়টি জানতে পেরে ছুটে এসে ওই যুবককে আশ্বাস দেন বিডিও। বিডিওর আশ্বাস পেয়ে ধরনা তুলে নেন ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল-১ ব্লক অফিসের সামনে।



চাঁচল ১ ব্লকের অলিহণ্ডা গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা নুর নবি আজাদ (৩৫)৷ জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে মুম্বাইয়ে দুর্ঘটনাবশত গাছ থেকে পড়ে যান৷ সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসার পরও তাঁর কোমর ঠিক হয়নি। আজাদ সাহেবের অভিযোগ, এলাকার জন প্রতিনিধিরা কেউ তাঁর চিকিৎসার খোঁজ নেয় না৷ বাবা-মা তাঁর শুশ্রূষা করেন না৷ পাইপ ও জেল ছাড়া এখন তিনি প্রাত্যহিক কাজকর্মও করতে পারেন না৷ প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও মাসে এক হাজার টাকায় তাঁর কিছুই হয় না৷ তাঁর রেশন, ভোটার, আধার, এমনকি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে৷ কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও কেউ তাঁকে একটা জেলও কিনে দেয়নি। তাই তিনি বিডিওর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন৷ প্রশাসন তাঁকে আত্মহত্যা করার অনুমতি দিক৷


বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বিষয়টি জানতে পেরেই আজাদ সাহেবের সঙ্গে দেখা করেন৷ তাঁকে চিকিৎসার যাবতীয় সাহায্য করার আশ্বাস দেন৷ এমনকি তিনি আজাদ সাহেবের জন্য আজ চালের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন৷


এদিকে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ওই যুবক স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রশাসনের মুখের উপর ছুড়ে মেরেছেন৷ এটা অস্বাভাবিক নয়৷ আসলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রাজনৈতিক গিমিক ছাড়া আর কিছু নয়৷ ভোটের আগে এই কার্ড ইশ্যু করা হচ্ছে। ভোট পেরোতেই এই কার্ডের ভ্যালিডিটিও শেষ হয়ে যাবে।




তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক মেহবুব আলম সরকার বলেন, এর আগে তাঁরাই উদ্যোগ নিয়ে ওই যুবকের প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন৷ তাঁর চিকিৎসার জন্য জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page