আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Aug 20, 2020
Updated: Sep 21, 2020
আজ গার্হস্থ হিংসার দুটি ঘটনা ঘটে চাঁচলে। একটি ঘটেছে মকদমপুর এলাকায়। এখানে এক গৃহবধূকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে মামা ও তাঁর ছেলেদের বিরুদ্ধে। অপর নির্যাতিতা কানাইপুরের, শ্বশুরবাড়ি লোকজন তাকে মারধর করে। এই দুই ঘটনাতেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।
আজ সকালে এক গৃহবধূকে নানা অপবাদ দিয়ে মারধর করতে থাকে তাঁর মামা আসাদ আলি সহ তার ছেলেমেয়েরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আক্রান্ত মহিলা সমস্ত ঘটনা জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এই আক্রান্ত বধূর নাম রিঙ্কি খাতুন। বাড়ি চাঁচল থানার অন্তর্গত মকদমপুর এলাকায়। রিঙ্কি খাতুনের স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে রয়েছেন। দুই সন্তান ও মাকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন রিঙ্কি খাতুন। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই মামা ও মামাতো ভাই-বোনেরা রিঙ্কি খাতুনের ওপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে রিঙ্কি খাতুনের স্বামী ভিনরাজ্যে কাজে চলে যান।
রিঙ্কি খাতুন বলেন, বসতবাড়ি হাতিয়ে নিতেই তাঁর মামারা এই ধরণের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে ঘটাচ্ছে। আজ সকালে তাঁর মামা সহ কয়েকজন তাঁদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি সমস্ত ঘটনা জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অন্য নির্যাতিতা গৃহবধূর নাম রাজেদা খাতুন৷ পাঁচবছর আগে কানাইপুরের মাসুদ আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজেদার৷ অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি লোকজনেরা রাজেদার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতে থাকে৷ আজ রাজেদা তার বাড়ির সামনে পাটকাঠি রেখেছিল। এরপরেই রাজেদার শ্বশুর-শাশুড়ি-জা মিলে তাঁকে মারধর করে৷ স্থানীয় লোকজন রাজেদাকে উদ্ধার করে৷ পরে রাজেদা সমস্ত ঘটনা জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ৷
মালদা জেলার টাটকা নিউজ এখন আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে। বিনামূল্যে পড়তে এখানে ক্লিক করুন